যেভাবে আলোচনায় পরিদর্শক সোহেল রানা
রাকিব হাসান
সম্প্রতি ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারিতে সামনে আসে পুলিশ সদস্য সোহেল রানার নাম। তিনি বনানী থানার পরিদর্শক। গত ০৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হন তিনি।
বিএসএফ এর বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশের দায়ে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড পাওয়া গেছে।
এদিকে ই-অরেঞ্জ নিয়ে আলোচনা শুরুর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কিত কিছু ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে দেখা যায় সোহেল রানার ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র। এরমধ্যে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবা-মায়ের নাম এবং ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ট্রেড লাইসেন্সে তার বাবা-মায়ের নাম একই দেখা যায়। যা নিশ্চিত করে সোনিয়া মেহজাবিন ও শেখ সোহেল রানা আপন ভাই-বোন।
এছাড়া শেখ সোহেল রানার নামে লিংকড ইন আইডির একটি স্ক্রিনশট দেখা যায় গ্রুপগুলোতে। যেখানে সোহেল রানার নামের পাশে পুলিশ সদস্য পরিচয়সহ অরেঞ্জ বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে।
কিছু দিন আগে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সোনিয়া মেহজাবিন জানিয়েছিলেন, ২০০৯ সাল থেকে অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন তারা। ওই প্রতিষ্ঠানের অধীনে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ।
গত মার্চের ২৩ তারিখ ই-অরেঞ্জ থেকে টাকা তুলেছেন সোহেল রানা। যার একটি স্ক্রিনশট ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের গ্রুপে এখন চর্চার বিষয়।