কেন সোনার ব্যবসা শুরু করলেন সাকিব আল হাসান?
ওবায়দুল শেখ
বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের পরিচয় শুধু ক্রিকেটার হিসেবে নয়। মাঠের বাইরে তিনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। নানা ধরনের ব্যবসার সাথে যুক্ত সাকিব।
শেয়ারবাজারের পর সম্প্রতি স্বর্ণের ব্যবসায় নেমেছেন। তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বর্ণ কেনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন সাকিব।
তবে, এতোকিছু রেখে কেন স্বর্ণ ব্যবসাকে কেন বেছে নিলেন সাকিব? এবার সে বিষয়েই জানালেন তিনি।
বেসরকারি এক টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, স্বর্ণ এমন একটি জিনিস যেখানে আপনি যদি ইনভেস্ট করেন, আপনার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি লাভের নিশ্চয়তা থাকবে। যেটা আর অন্য কোন কিছুতেই থাকবে না।
স্বর্ণের সাথে টাকার উদাহরণ টেনে সাকিব বলেন, আপনি যদি ব্যাংকে টাকাও রাখেন, টাকার মান কমতে থাকে। কিন্তু স্বর্ণের মান আদিযুগ থেকে কখনই কমেনি এবং এটার মান কমবেও না।
এটি একটা ভালো ব্যবসা, যেটার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে, দেশের মানুষ উপকৃত হতে পারে। সাথে তার ব্যবসাটা সফল হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি, সে কারণেই স্বর্ণের ব্যবসায় আসা বলে জানান সাকিব।
স্বর্ণের ব্যবসায় চোরাচালান একটা বড় বাঁধা। এ বিষয়ে সাকিব আল হাসান বলেন, তার কোম্পানি লাইন্সেসকৃত স্বর্ণ আমদানিকারক। বাংলাদেশের মানুষ সঠিক স্বর্ণটি পাবে। যেটার ট্যাক্স প্রদান করা এবং লিগ্যাল। ইলিগ্যাল কোন স্বর্ণ তারা গ্রহণ করবে না।
পণ্যদূত হিসেবে পরিচিতি ছাড়াও নানামুখী বিনিয়োগ ও ব্যবসার মাধ্যমে করপোরেট জগতে এরই মধ্যে নিজের পরিসর বড় করে তুলেছেন সাকিব। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ী হিসেবে হাতেখড়ি সাকিব আল হাসানের।
এরপর দ্রুতই নিজের ব্যবসার ক্ষেত্রকে বড় করেছেন তিনি। দেশের শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে তার।
এছাড়া দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন সাকিব আল হাসান।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ব্যবসা নাকি ক্রিকেট কোনটিতে অবদান রাখবেন সাকিব? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব জানান, যেগুলার মাধ্যমে আসলে দেশের উপকার করা সম্ভব হবে, যদি সব গুলোতে থাকা সম্ভব হয়, সবগুলোতে থাকার চেষ্টা করবেন তিনি।