সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে জয়ের
সাদাকালো নিউজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে কোচ জেমি সিডন্সের আক্ষেপ ছিল ব্যাটারদের দীর্ঘ সময় উইকেটে না থাকা নিয়ে। দ্বিতীয় টেস্টেও সিডন্সের ওই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। শেষ ম্যাচে সিডন্সের ওই প্রত্যাশার সিকিভাগ হলেও পূরণ করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৪২১ মিনিট উইকেটে থেকে অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রানে। এই সেঞ্চুরিতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে জয়ের। ম্যাচ শেষে এমনটাই বলেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচান জয়। তার ব্যাটে আসে ১১৪ রান। ১৪ চারে এই ইনিংস খেলেন। ম্যাচ শেষে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে জানিয়ে বলেন, ‘সেঞ্চুরি করলে সবারই ফিলিংস অনেক ভালো থাকে। আত্মবিশ্বাসের জায়টা অনেক বেড়ে যায়। আমি অনেক খুশি।’
সেঞ্চুরির পর আফগানিস্তান দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কি না সে রকম প্রশ্নও এসেছিল জয়ের কাছে। উত্তরে বেশ পরিপক্ব ভাব দেখান তিনি। জয় বলেন, বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর। তার কাজ পারফরম্যান্স করা। সেটা করেছেন তিনি।
লম্বা ফরম্যাটের খেলায় শেষ ইনিংসে সেঞ্চুরি করাটা বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। সেই কাজটাই করেছেন জয়। সেটা নিয়ে বলেন, ‘চতুর্থ দিন সাধারণত উইকেটে টার্নিং থাকে। তবু উইকেট ভালোই ছিল। চ্যালেঞ্জিং অবশ্যই। কারণ শেষ দিন ছিল। ওদের মানসম্পন্ন বোলার ছিল।’
সেঞ্চুরি করার পথে স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। সেটাকেও স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন। সেঞ্চুরি করার পথে গুরু সিডন্সের কাছে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে আসার টোটকা পেয়েছিলেন। সেটা নিয়ে জয়ের ভাষ্য, ‘জেমি বলেছেন আমাকে শেষ পর্যন্ত খেলে আসতে। সেঞ্চুরি সব ব্যাটারের জন্যই বিশেষ কিছু। এটা আমার জন্যও বিশেষ। সব দলই চাইবে জেতার জন্য। ওরা যেকোনো উপায়ে (স্লেজিং) আউট করার চেষ্টা করবে।’