ব্রয়লার মুরগির সঙ্গে তেজ দেখাচ্ছে চিনি-পেঁয়াজ
সাদাকালো নিউজ
রোজার শেষে নিত্যপণ্যের বাজার কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ঈদের দুদিন আগে হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারসাজির কবলে পড়েছিলেন ভোক্তারা। ঈদের পরেও হঠাৎ অস্থির হওয়া বাজার স্বাভাবিক হয়নি। উল্টো অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিতে। বেড়েছে চিনি, পেয়াজ ও আদা রসুনের দাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে সরবরাহ ঠিক থাকলেও কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এছাড়াও সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। এছাড়াও পেঁয়াজে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আদা-রসুন ও জিরাও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে।
এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির দৈনিক বাজার পণ্যমূল্য তালিকায়ও দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ৩৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চিনি সাত দিনের ব্যবধানে ২.১৩ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫.৮৮ শতাংশ, রসুন ৭.৬৯ শতাংশ, আদা ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি জিরা ৪.৬২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর টাউন হলের বাজারে মুরগি কিনতে আসা আহসানুল কবির রুদ্র বলেন, ব্রয়লার মুরগি নিয়ে বড় কারসাজি চলছে। ইচ্ছা হলেই দাম বাড়াচ্ছে আবার কমাচ্ছে। কিন্তু বাজারে তো মুরগির কোনো সংকট দেখছি না। এখন ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এই মুরগি আগে তো ১৫০ টাকায় কিনেছি।
একই বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রেতারা যে দরে আনি কিছু লাভ রেখে বিক্রি করি। বড় করপোরেট খামারিরা এখন দাম নির্ধারণ করছে। পুরোবাজার মূলত এরাই নিয়ন্ত্রণ করে।