সুফল পেতে জাতীয় ওষুধ নীতিতে সংস্কার চান খাত সংশ্লিষ্টরা
সাদাকালো নিউজ
দেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধ নীতি। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে ওষুধের বাজার ছিল ১৮৭ কোটি টাকার। সেসময় ৮০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আনতে হতো। আর এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৫০টি দেশে রপ্তানি হয় বাংলাদেশের ওষুধ। আর দেশে বাজার ছাড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। প্রয়োজনের ৯৮ শতাংশ উৎপাদিত হচ্ছে দেশে।
ওষুধ শিল্পের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনে পেছেনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে ১৯৮২ সালর ওষুধ নীতি। যেখানে দেশিয় শিল্প খাতকে গুরুত্ব দিতে ওষুধ উৎপাদনে বিদেশি কোম্পানির অনুমোদন বন্ধ করা হয়। দাম নির্ধারণের কর্তৃত্বও রাখা হয় সরকারের হাতে। আর এই নীতিমালার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী বলেন, এক পেইজ বিজ্ঞাপন দিয়েছে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি দিনের পর দিন সেই সময়ের দামি পত্রিকাগুলোতে। তার সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিক্যালে অ্যাসোসিয়েশনও একই সঙ্গে প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, এটার মধ্যে একটা অর্থনীতি বন্দোবস্ত আছে। নিজস্ব দেশে জাতির বিকাশের কথা বলা আছে। এখানে ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ, অপ্রয়োজনীয় ওষুধগুলো মাঠ থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে।
তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই নীতি করা হয়েছিল তা জনকল্যাণের কাজে লাগছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, যেখানে মূল আগ্রহটা ছিল মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধকে সহজলভ্য করা। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে শিল্পের বিকাশ ঘটানোর দিকে শিফট হয়েছে। এর ফলে জনকল্যাণের যে মূল অংশ যেমন মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, এই বিষয়গুলো তূলনামূলকভাবে ভোতা হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী বলেন, ইকোনমিক সাকসেসকে আমরা তুলে ধরছি, সব ঠিক আছে। কিন্তু এই সাকসেস হেলথ সাকসেস বয়ে এনেছে এর কোনও প্রমাণ নেই।