মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮. ৭ শতাংশ হবে: এডিবি
সাদাকালো নিউজ
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮.৭ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির ঢাকা অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘এশীয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুক-২০২৩’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সিনিয়র ইকোনমিস্ট সন চ্যাং হং। এসময় এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং উপস্থিত ছিলেন।
এডিবি জানায়, বৈশ্বিক সংকটে ৫.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। কারণ আপনারা জানেন রপ্তানি গ্রোথ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটও বড় সমস্যায় ফেলেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির হার ধীরগতির অন্যতম কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ। এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদার মধ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ গত বছর ছিল মাত্র ৬.২ শতাংশ, সেখান থেকে ২০২৩ সালে হঠাৎ করেই বেড়ে ৮.৭ শতাংশ হবে। দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে।
এডিমন গিনটিং বলেন, সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রতিকূলতার প্রভাবেও তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। পাশাপাশি সব খাতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কঠিন সময়েও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহকে শক্তিশালী করা, আর্থিক খাতকে গভীর করা, এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো জরুরি।
তিনি আরও বলেন, দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সরবরাহের দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে। এই জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
এডিবি জানায়, বেসরকারি বিনিয়োগ কম হবে কারণ জ্বালানি ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে নানা কারণে উৎপাদন খরচও বেশি। রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, কঠোরতা ব্যবস্থা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং পাবলিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিও ধীর হবে। জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী, গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।