নতুন আফগানিস্তানের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখবে চীন?
সাদাকালো নিউজ ডেস্ক
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান বাহিনী। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান ফিরে আসার পর দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন শঙ্কা আছে; তেমনি শঙ্কিত বিশ্ব মোড়লেরাও। বেশিরভাগ রাষ্ট্র কাবুলে নিজেদের দূতাবাস থেকে জরুরী ভিত্তিতে দেশে ফিরিয়ে আনছে তাদের কূটনীতিকদের। তবে, চীন আফগানদের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে।
চীন বলেছে, তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের “বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক” সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত।
তালেবান যখন ১৯৯৬ সাল হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল, তখন দেশটি ছিল আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় একঘরে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সেরকম নাও হতে পারে, সেরকম ইঙ্গিত এখনই দেখা যাচ্ছে।
বিবিসি মনিটরিং এর চীনা মিডিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক কেরি অ্যালেন বলেছেন, আফগানিস্তানে যা ঘটছে তাই এখন চীনা গণমাধ্যমের শিরোনাম দখল করে আছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় আফগানরা কিরকম ‘বিশ্বাসঘাতকতার শিকার’ হয়েছেন, সেটাই প্রাধান্য পাচ্ছে চীনা গণমাধ্যমের খবরে।
আফগানিস্তানের চীনা দূতাবাস সেখানে কোন চীনা নাগরিক হতাহত হওয়ার খবর পায়নি বলে জানিয়েছে। তবে চীনা দূতাবাস এই মূহুর্তে আফগানিস্তানে তাদের নাগরিকদের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকা খবর দিচ্ছে, দূতাবাস কর্মীদের ফিরিয়ে আনার কোন পরিকল্পনা এই মূহুর্তে বেইজিং এর নেই। চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে প্রস্তুত।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হুয়া চুনিইং বলেছেন, “আফগানিস্তানের জনগণের ইচ্ছা এবং পছন্দকে চীন শ্রদ্ধা করে, তবে চীন অব্যাহতভাবে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।”
চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা লিখেছে, চীন বিশেষভাবে নজর রাখবে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি যেন শিনজিয়াং প্রদেশে কোন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। এই স্বশাসিত অঞ্চলটি আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন।