বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিলো মেক্সিকো
সাদাকালো নিউজ
এক সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশে নিজেদের দূতাবাস চালু করেছে নান্দনিক ফুটবলার মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। এবার বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ভারত সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে নয়াদিল্লীতে বৈঠক করেছেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সচিব মার্সেলো ইব্রার্ড। এ সময় মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সচিব এই ঘোষণা দেন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার সময় মার্সেলো এব্রার্ড চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকায় একটি মেক্সিকান দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেন। এটি উভয় বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জানিয়েছেন, মেক্সিকো বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী, বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি ব্যবসা এবং প্রযুক্তি খাতে।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে মেক্সিকো তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ভারতের নয়াদিল্লীতে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে।
১৯৭৫ সালের ৮ জুলাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের চার বছরের মাথায় এ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপিত হয়।
গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বশেষ বাংলাদেশ-মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যু, যেমন, উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণের সফর আয়োজন, বাংলাদেশ-মেক্সিকো পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠন, ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস চালুকরণসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ ও মেক্সিকোতে পারস্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দু’দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বিনিময়, Avoidance of Double Taxation বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে লিঙ্গ সমতা, পরিবেশ, কৃষি, প্রতিরক্ষা ও পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, এয়ার সার্ভিস চুক্তি, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং মেক্সিকোর National Autonomus University/ Secretariat of Public Education এর মধ্যে সরকারি বৃত্তি, ফেলোশিপ, প্রশিক্ষণ ও দু’দেশের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্বাক্ষর, দু’দেশের কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমির সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি বিষয়গুলো আলোচিত হয়।