২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে আসবে শ্রেয়ার নিথর দেহ
সাদাকালো নিউজ
কানাডার টরন্টোয় সড়কে প্রাণ হারানো তিন শিক্ষার্থীর নিথর দেহ দেশে আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁদের জানাজা ও শোক পালনের সময়সূচিও।
পুলিশের পক্ষ থেকে শাহরিয়ার মাহির খান, আরিয়ান আলম দীপ্ত ও অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈকে দেশে আনার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। টরন্টোর বাংলাদেশ কনসাল অফিস থেকে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর কাজ চলছে।
জানা গেছে, কানাডার স্থানীয় সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈকে শেষ বিদায় জানাতে এক শোক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ইটোবিকোর লোটাস ফিউনারেল অ্যান্ড ক্রিমেশন সেন্টারে।
মেয়ের দেহ বুঝে নিতে অ্যাঞ্জেলার বাবা জেমস সুনাম বাড়ৈ গেল বৃহস্পতিবার টরন্টোতে গেছেন। অ্যাঞ্জেলার দেহ দেশে আনার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি এয়ারলাইন্স বুকিং দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে তার পারিবারিক সূত্র।
অন্যদিকে, দুই মুসলিম তরুণ শাহরিয়ার মাহির খান ও আরিয়ান আলম দীপ্তের জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বাদ জোহর। স্কারবোরোর ১ স্টামফোর্ড স্কয়ার নর্থ এলাকায় আল-আবেদীন মসজিদে তাঁদের দুজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
দীপ্ত ও মাহিরের জানাজা, গোসল ও লাশ দেশে পাঠানোর দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশি ইসলামিক ফিউনারেল সার্ভিস। জানা গেছে, মাহির ও দীপ্তের দেহ বাংলাদেশ বিমানে করে দেশে আনা হবে। তবে কবে নাগাদ এবং কোন ফ্লাইটে তাঁদেরকে দেশে আনা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
কানাডার টরন্টোতে গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হয় বাংলাদেশি চার শিক্ষার্থীর গাড়ি। নগরীর অদূরে ৪২৭ হাইওয়ে ডানডাস ইন্টারসেকশনের কাছে তাদের গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। পুলিশের ভাষ্য, গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চলছিল। এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে ঘটে দুর্ঘটনা।
পরে জানা যায়, ওই গাড়িটিতে চালকের আসনে ছিলেন কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার। গাড়িটির পেছনে ছিলেন শাহরিয়ার খান মাহির ও আরিয়ান আলম দীপ্ত নামে দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থলেই এই দুজন প্রাণ হারান। নিবিড়ের পাশে সামনের সিটে ছিলেন অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ নামে আরেক শিক্ষার্থী। তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন তিনি।