বইমেলায় নিষিদ্ধ প্রীতির বই ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস
সাদাকালো নিউজ
জান্নাতুল নাঈম প্রীতি। একুশে বইমেলায় প্রকাশিত একটি বইয়ের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় তিনি। অবশ্য তাকে ঘিরে আলোচনা এবারি প্রথম নই। অনেকদিন আগে থেকেই আলোচিত-সমালোচিত তিনি। কে এই জান্নাতুল নাঈম প্রীতি? কেনই বা তিনি আলোচনায় থাকেন?
জানা গেছে, জান্নাতুল নাঈম প্রীতির বাড়ি সিরাজগঞ্জের তিন্নাদিন্না গ্রামে। শৈশব থেকেই লেখালেখি করেন তিনি। তার লেখা ‘বাংলাদেশ নামটি যেভাবে হল’ বইটি ইউনিসেফ প্রবর্তিত মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। এছাড়াও আন্তর্জাতিক চিলড্রেন্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ঘরে তুলেছেন তিনি।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে নিজের আত্মজীবনী লিখে আলোচনায় আসেন প্রীতি। এছাড়া ব্যক্তিগত বিতর্ক নিয়েও আলোচনায় ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে নিজের চেয়ে বয়সে অনেক বড় এক আইনজীবীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়ান প্রীতি। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা জান্নাতুল নাঈম প্রীতির বিতর্কই যেন বড় বন্ধু।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় জান্নাতুল নাঈম প্রীতিকে নিয়ে। কারণ তার লেখা নতুন একটি বই। ইতোমধ্যে সেই বইটি অমর একুশে বই মেলায় বিক্রি ও প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে বইমেলা গঠিত টাস্কফোর্স।
নতুন এই বইটিতে প্রীতি তার নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানা কথা লিখেছেন। সেই সঙ্গে দেশের বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটির ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বিস্ফোরক বক্তব্য সেখানে এসেছে। যা নিয়ে বিতর্কের সূচনা। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে।
এদিকে বই মেলায় গিয়ে দেখা যায়, জান্নাতুল নাঈম প্রীতির বইঠি আর বিক্রি করছেন না বিক্রয়কর্মীরা। নালন্দা স্টলের বিক্রয়কর্মীরা বলেন, টাস্কফোর্স থেকে নিষেধাজ্ঞা আসার পর বইটি বিক্রি বন্ধ করা হয়। স্টলে প্রদর্শনও করা হয়নি।
বর্তমানে প্যারিসে থাকেন লেখিকা জান্নাতুল নাঈম প্রীতি। বইমেলায় বইটি নিষিদ্ধ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় দেশের একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা নেই। অদূর ভবিষ্যতে ‘বাক স্বাধীনতা’ থাকবে কিনা, এটা বাংলাদেশের মানুষকেই ঠিক করতে হবে। আমি কেবলমাত্র এটুকুই বলব।’
শুরুর দিকে নারীবাদী লেখালেখি করে লাইমলাইটে আসেন জান্নাতুল নাঈম প্রীতি। ইতোমধ্যে ডজনখানেক বই প্রকাশিত হয়েছে তার। তবে নতুন বইটিতে প্রীতি যে ধরনের লেখা লিখেছেন, তা নারীবাদী বিষয়টিকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এ নিয়ে ফেসবুকেও চলছে লেখালেখি।
আমিনুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক লেখেন, স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিছানায় গিয়ে সেই পুরুষের সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে বই লেখা বা তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এটা একটা বড় অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি কি- তা আমি জানি না। কিন্তু যারা এ ধরনের বিকৃত আচরণের মাধ্যমে নারীবাদ বিষয়টিকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।