৫৮তে পা রাখলেন রকস্টার জেমস
সাদাকালো নিউজ
নগরবাউল, গুরু, রকস্টার কোন নামে চিনেন আপনি তাকে। ব্যান্ড মিউজিকের নক্ষত্র তিনি। এমন বিশেষণের পর নিশ্চয় আপনার বুঝতে বাকি নেই, কে সেই মানুষটি। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন তিনিই সঙ্গীতপাগল জেমস।
আজ ২ অক্টোবর সঙ্গীত গুরুর জন্মদিন। সঙ্গীতের এই বরপুত্র পা রাখলেন ৫৮ বছরে।
আশির দশকের শুরুতে চট্টগ্রামে সঙ্গীত জীবন শুরু করেন জেমস। বাবার চাকরি সূত্রে সেখানে থাকতেন তিনি। তবে সরকারি চাকরিজীবী বাবা চট্টগ্রাম ছাড়লেও থেকে যান জেমস। তিনি কখনো নগরবাউল, কখনো রকস্টার আবার কখনো সঙ্গীতপাগল জেমস। পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিলিংস’ নামক একটি ব্যান্ড। নিজেই ছিলেন ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। পরে ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম রিলিজ করে সুপার হিট হয়ে যান জেমস। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়।
এছাড়াও জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলো হল নগর বাউল থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’।
এরপর তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। ‘দেশা দ্য লিডার’, ‘সত্তা’ ছবির জন্য গান করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
বাংলা গানের পাশাপাশি হিন্দি গানও সুপার ডুপার হিট। জয় করেছেন লাখো ভক্ত-শ্রোতার হৃদয়। বলিউডে তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো- ‘ভিগি ভিগি’ (গ্যাংস্টার), ‘চল চলে’ (ও লামহে) এবং ‘আলবিদা’, ‘রিস্তে’ (লাইফ ইন অ্যা মেট্টো), ‘বেবাসি’ (ওয়ার্নিং)।
জেমসের স্ত্রীর নাম বেনজির সাজ্জাদ। তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে দানেশ। দুই মেয়ে জান্নাত ও জাহান।