সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। সোমবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানান।
এসময় নসরুল হামিদ জানান, ‘নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ৬৮ বিসিএফ (৬৮ বিলিয়ন ঘণফুট) গ্যাসের মজুত আছে। আগামী ১২ থেকে ১৪ বছরে উত্তোলিত গ্যাসের বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রে ৬৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত থাকলেও উত্তোলন করা যাবে ৪৮ বিলিয়ন ঘনফুট। প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘণফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে জকিগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্র থেকে।’
নসরুল হামিদ আরও জানান, ‘চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কাজ শুরু করে ৭ মে পর্যন্ত কূপ খননকাজ চালায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স)। মোট ১ হাজার ৯৮১ মিটারের একটি কূপ খনন করে ২৮৭০-২৮৯০ মিটারে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। গত ১৫ জুন ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) গ্যাসের শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স। এখন একটি কূপ খনন করলেও, সামনে আরও দুই থেকে তিনটি কূপে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘শিল্প-কারখানায় সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করতেই সব কাজ চলছে। ২০৪১ সালের জ্বালানি চাহিদা সামনে রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের ক্ষণে এবং স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তীতে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কার আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে খুবই স্বস্তির খবর। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নতুন গ্যাসক্ষেত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাপেক্স এর সক্ষমতা ক্রমশঃ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার, অনুসন্ধানের জন্য বাপেক্সকে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর হাত ধরে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তার যে ভিত রচনা হয়েছে তা তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আরও দ্রুত অগ্রসরমান হচ্ছে।’