এবার রিয়াদের পথে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
দীর্ঘ সাত বছরের চরম বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কের পর সম্প্রতি বরফ গলতে শুরু করেছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে। চলতি বছরের এপ্রিলে চীনের মধ্যস্থতায় আলোচনার টেবিলে বসেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার আরেক ধাপ এগোতে যাচ্ছে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। খবর আরব নিউজ।
রিয়াদের উদ্দেশে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের তেহরান ছাড়ার মধ্যে দিয়ে সেই নতুন দ্বার খুলে গেল। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) তিনি তেহরান ছাড়েন।
এর আগে এপ্রিলে দীর্ঘ বিরতির পর সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল আল এখবারিয়া বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মধ্যকার বৈঠকের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে।
ভিডিও থেকে দেখা গেছে, প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এবং হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান নিজ নিজ দেশের পতাকাকে পেছনে রেখে পরস্পরের সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন করছেন। এরপর তারা সেখান থেকে তাদের বৈঠকের জন্য নির্ধারিত কামরায় চলে যান। চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে সৌদি আরব এবং ইরান বৈরিতা ভুলে আবারও সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়। পুরো বিষয়টি হয় চীনের মধ্যস্থতায়। সে সময় দুই দেশই জানিয়েছিল তারা আগামী দুই মাসের মধ্যেই কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু করবে।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শিগগিরই দূতাবাস এবং কনস্যুলেট আবারও চালুর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সেই অনুযায়ী তারা দূতাবাস চালুর পাশাপাশি দূতালি কার্যক্রম চালু করে। ২০১৬ সালে সৌদি সরকার দেশটির শিয়া নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এরপর উত্তেজিত জনতা তেহরানে সৌদি দূতাবাসে আক্রমণ চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় সৌদি সরকার ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।