হিরো আলম কি পারবেন ভোটে বিজয়ী হতে?
সাদাকালো নিউজ
নানা কারণে প্রায়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সেসব ঘটনার ভিড়ে তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে। একই কারণে ফের আলোচনায় হিরো আলম। তৃতীয়বারের মতো তিনি ভোটের মাঠে। এক ধাপ এগিয়ে এবার তার চোখ ঢাকা-১৭ এর মতো অভিজাত আসনের দিকে।
হিরো আলম বগুড়ার ছেলে। নিজ এলাকার মানুষের সমর্থনেই তিনি দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। ভোটাররা ভালোবেসে তাকে ভোটও দেন। হিরো আলমের ভাষায়, ভোটাররা ক্রাশ খেয়েছিলেন তার উপর। কিন্তু ঢাকা-১৭ তার নিজের এলাকা নয়। এ আসনের গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্টের মতো অভিজাত এলাকাগুলোতে অভিজাত শ্রেণির মানুষের বসবাস। কাজেই প্রশ্ন উঠছে, বগুড়ার মতো গুলশান-বনানীর মানুষও কি হিরো আলমের উপর ক্রাশ খাবেন? তাকে ভোট আর সমর্থন দেবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে যোগাযোগ করা হয় হিরো আলমের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্টের ভোটাররাও তার উপর ক্রাশ খেয়েছে। হিরো আলম জানান, তিনি গুলশানে ভোটারদের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেছেন ছেলেমেয়েরা কীভাবে তার উপর ক্রাশ খেয়েছে।
কিন্তু কী এমন গুণ রয়েছে হিরো আলমের? যার কারণে গুলশান-বনানীতে বসবাসরত অভিজাত শ্রেণির মানুষরাও তার উপর ক্রাশ খেয়েছে এবং খাবে? হিরো আলমের দাবি, মানুষ ক্রাশ খায় তার সততা ও মেধাশক্তি দেখে। তার সংগ্রামী জীবন দেখে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৭ই জুলাই। নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার অনুমতি এখনো মেলেনি। তবে হিরো আলম এরিমধ্যে গুলশান-বনানী এলাকায় কয়েকদফা প্রচারণা চালিয়েছেন। এক শতাংশ ভোটারদের যে স্বাক্ষর লাগে, সেটার জন্যই তার এই ঘোরাঘুরি বলে জানান।
হিরো আলমের কাছে প্রশ্ন ছিলো তিনি কী চান? শুধু আলোচনায় থাকার জন্যই কি ঢাকা-১৭ মতো হাইপ্রোফাইল একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার সাহস দেখিয়েছেন? হিরো আলম জানান, আলোচনায় থাকা তার উদ্দেশ্য নয়। তিনি জনগণের পাশে থাকতে চান। এটাই তার লক্ষ্য।
গেল ১৫ই মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশের পাড়ি দেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফারুক। ফলে আসনটি শুন্য হয়ে যায়। অভিজাত এই আসন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে।
ধারণা করা হচ্ছে, হিরো আলমের প্রার্থিতা নিয়ে যদি কোনো জটিলতা তৈরি না হয়, তবে তিনিই টেক্কা দেবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরাফাতকে। বাকিটা সময়ের অপেক্ষা।