হিরো আলমের বিরুদ্ধে রিয়া চৌধুরীর অভিযোগ!
সাদাকালো নিউজ
আশরাফুল হোসেন, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। সংগীতের ভিডিও, মডেলিং, হাস্য রসাত্মক অভিনয় ও গায়ক হিসেবে দর্শকদের মধ্যে বহুল উচ্চারিত নাম। আলোচিত এই ইউটিবারকে নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। তার বিরুদ্ধে এবার সাধারণ ডায়েরি করেছেন রিয়া চৌধুরী নামে এক অভিনেত্রী। সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডা থানায় তিনি এই জিডি করেন।
জানা গেছে, রিয়া চৌধুরীর বাসা রাজধানীর পশ্চিম মেরুল বাড্ডায়। শৈশব থেকেই মিডিয়া জগতের সঙ্গে জড়িত তিনি। শুরুটা করেন নাটক দিয়ে। ইতোমধ্যে টিভি সিরিয়ালসহ চারটি সিনেমায় কাজও করেছেন। সদ্য মুক্তি পাওয়া হিরো আলমের ‘টোকাই’ চলচ্চিত্রে হিরো আলমের নায়িকার চরিত্রেও অভিনয় করেছেন রিয়া চৌধুরী। সম্প্রতি সিনেমাটির প্রচারে এসে ইংরেজি বলে ভাইরালও হয়েছিলেন।
কদিন আগেই হিরো আলম সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন, হিরো আলমের কাছে যে সম্মান তিনি পান সেটা অন্য কারও কাছে পান না। হিরো আলম তাকে হৃদয় থেকে সম্মান করে। তাকে নিয়ে বিভিন্নজন নানা মন্তব্য করলেও তিনি একজন ভালো মানুষ। এ কারণে তিনি তার নাম দিয়েছেন ‘নেভার গিভ আপ ম্যান’। কিন্তু হঠাৎ করে কি এমন হলো যার কারণে পুলিশের আশ্রয় নিতে হলো তাকে?
রিয়া চৌধুরীর করা জিডিতে বলা হয়েছে, ‘হিরো আলম বগুড়া’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে তিনি দেখতে পান- হিরো আলমের কথিত সহযোগী রিয়া মনি নামধারী একটি মেয়ে তাকে গালাগাল করছেন। এতে হিরো আলমের ইন্ধন রয়েছে। সামাজিকভাবে রিয়া চৌধুরীর মানহানি ও ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকায় আপাতত অভিযোগ দিয়ে রাখছেন। পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে মোকদ্দমা করবেন বলে উল্লেখ করা হয় জিডিতে।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, জিডি হয়েছে। তবে এটা সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগ হওয়ায় জিডিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে হিরো আলম জানান, যে ভিডিওটি আপলোড হয়েছে তাতে রিয়া চৌধুরীর নাম বলা হয়নি। আর সেই প্যাজ তিনি চালান না, অ্যাডমিনরা চালায়। এরপরও যদি তার সম্মানহানি হয়ে থাকে তবে সে প্রমাণ করুক। এসব নিয়ে এখন মাথা ঘামানোর সময় নেই বলে জানান হিরো আলম। তিনি এখন ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বহুল আলোচিত হিরো আলম। এক সময় সিডি বিক্রি করতেন। সিডি যখন চলছিল না তখন ডিশ সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন তিনি।
এরপর হিরো আলম পরিচিতি পান নানারকম ফানি কনটেন্ট ও মিউজিক ভিডিও বানিয়ে। কুরুচিসম্পন্ন আর নিম্নমানের ভিডিও বানিয়ে তাকে নিয়ে হাসাহাসিও হয় অনেক। আর এই ট্রল হতে হতেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যান তিনি।