হঠাৎ রাজধানীতে ৭৪ কিলোমিটার বেগে ঝড়!
সাদাকালো নিউজ
চৈত্রের শেষে মাঝারি থেকে তীব্র রূপ নেয়া তাপপ্রবাহ সপ্তাহখানেক পুড়িয়ে শীতল হয়েছিল গত শুক্র ও শনিবারের বৃষ্টিতে। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো আবারো সেই তাপপ্রবাহ চড়তে শুরু হয়।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ সেই সময় রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড় এনে দিল প্রশান্তি।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার এয়ারপোর্টে সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার ও আগারগাঁওয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের প্রখর তাপ ছিল দুপুর পর্যন্ত। তবে দুপুর ২টার পর থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। তখন বিকেল বেলা হলেও মনে হচ্ছিল যেন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। তবে এরপরই ঝড়ের সঙ্গে হালকা বৃষ্টির দেখা মেলে।
ব্যাপক ধূলিঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাত। তবে বৃষ্টির তোড় না থাকলেও হিম বাতাসে তাপপ্রবাহ কেটে যায়। এছাড়া দেশের ১৪টি অঞ্চলে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়োহাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস সকালেই জানিয়েছিল রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই আভাসকে সত্যি করে দিয়েই নেমে এসেছে ঝড়-বৃষ্টি।
এদিকে আজ রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।