সোহেল চৌধুরী: অকালে নিভে যাওয়া এক তারা
সাদাকালো নিউজ
৯০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। মিষ্টি হাসি আর মায়াবী মুখচ্ছবির জন্য তাকে বলা হতো চির সবুজ নায়ক। বেশ কয়েকটি ছবিও তার সুপার-ডুপার হিট হয়।
১৯৬৩ সালের ১৯ অক্টোবর রাজধানীর বনানীতে জন্মগ্রহণ করেন সোহেল চৌধুরী। তার বাবার নাম তারেক আহমেদ চৌধুরী। মা নূরজাহান বেগম। সোহেল চৌধুরী অভিজাত ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি গিটার বাজাতে ও গান গাইতে ভালোবাসতেন।
১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চলচ্চিত্রজগতে আসেন সোহেল চৌধুরী। সুদর্শন চেহারার কল্যাণে রীতিমতো উঠতি তারকা বলে ধরা হয় তাঁকে। ১৯৮৬ সালে পর্বত সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী। তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সোহেল চৌধুরী মূলত রোমান্টিক নায়ক হিসেবে খ্যাতি পান। তার চুলের স্টাইল সে সময়ের তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তাও পায়। আশির দশকের শেষে তার পোশাকের স্টাইল ও গ্ল্যামার দর্শককে আকৃষ্ট করতো।
১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী তার সহ-অভিনেত্রী পারভিন সুলতানা দিতিকে বিয়ে করেন। সাংসারিক জীবনে তারকা এই দম্পতির দুটি সন্তান আছে। সুন্দরী, সুঅভিনেত্রী ও সংযত আচরণের অধিকারী দিতির ক্যারিয়ার এগিয়ে গেলেও সোহেল চৌধুরী খুব একটা সফল হয়নি।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর সোহেল চৌধুরী কয়েকটি ছবিতে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। কয়েকটি ছবিতে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় নায়ক।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়া হয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীকে। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদের কারণেই তাকে সরিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ আছে।