সেঞ্চুরি হাঁকালো পেঁয়াজ
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও জেলার সর্বত্র মজুত থাকা ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। আমদানি না হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্য পণ্যটির দাম আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে পেঁয়াজ এমন উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়ার চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দার হাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটামুটি ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। বাজারের অধিকাংশ দোকানেই পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া অতি ছোট সাইজের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে।
বহদ্দার হাট কাঁচা বাজারের মুদি দোকানদার আবদুল মান্নান জানান, পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা পড়ছে ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ যোগ হচ্ছে। ফলে ১০০ টাকার কমে পেঁয়াজ বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে।
একই বাজারের সারওয়ার আলম নামের অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি এখন খুচরা পর্যায়ে ১০০ টাকা। এর কমে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। পেঁয়াজ আমদানি না হলে দাম আরও বাড়বে।
এদিকে সকালে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে খবর নিয়ে জানা গেছে, মজুত থাকা ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৩ থেকে ৮৬ টাকা দরে। দেশিয় পেঁয়াজের মূল্য পাইকারিতে ৭০ টাকা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক জানান, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে বাজারে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালানো হচ্ছে। জরিমানা করার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, বাজারে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে মধ্যসত্ত্বকারী একটা সিন্ডিকেট আছে। যারা পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকাংশে দায়ী। এখানে ডিমান্ড অর্ডার (DO) এর মাধ্যমে শুধুমাত্র ১টি ক্রয় রশীদই বিক্রি হয় ১০ জনের অধিকের কাছে। আমরা বিভিন্ন ট্রেডিংয়ের দোকান থেকে ৬০০’র বেশি মধ্যসত্বভোগীদের নাম এবং মোবাইল নম্বর সংগ্রহে নিয়েছি। যাদের মাধ্যমে একটি পণ্যের দাম হাত বদল হয়ে বাড়তে থাকে।