সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে উধাও অভিযোগকারী !
সাদাকালো নিউজ
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এক ভোক্তা। বিষয়টি নিয়ে এরপর থেকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকে দাবি করেন, কাচ্চিতে খাসির মাংসের নামে অন্য প্রাণীর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। তবে সুলতান’স ডাইন বলছে, এসব অভিযোগ সত্য নয়। তারা মাংস নিয়ে ল্যাবে পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে।
সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তুলেন কনক রহমান খান নামে একজন নারী ভোক্তা। চলতি মাসের পাঁচ তারিখে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, গুলশানের সুলতান’স ডাইন থেকে সাত প্যাকেট খাবার কেনেন তিনি। পরে খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে তার সন্দেহ হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, এটা অবশ্যই খাসির মাংস না। কারণে খাসির হাড় এমন চিকন হয় না। তিনি দাবি করেন, সুলতান’স ডাইনে খাসির পরিবর্তে বিড়ালের মাংস দেয়া হয়েছে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পরে সেই পোস্ট।
এরপর গুলশান-২-এর নম্বরে ফোন করে সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজারকে ডাকেন তিনি। অভিযোগ করেন কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে দেয়া হয়েছে। পরে দুইজন লোক দিয়ে আবার নতুন খাবার পাঠানো হয় সেখানে। এজিএম আশরাফও আসেন নতুন খাবারের সঙ্গে।
সুলতান’স ডাইন গুলশান ব্রাঞ্চের ম্যানেজার কামাল আহমেদ বলেন, অভিযোগকারীরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করেছিলো। আমরা তাদের টাকা দিতে রাজি হয়নি। পরে তারা অন্য ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি-ধামকি দেয়।
৫ তারিখে দেয়া সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলেছে অভিযোগকারী। এমনকি ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগকারী কনক রহমান খানকে। নিজের অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাকটিভ করে রেখেছেন ওই নারী।
এদিকে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ থেকে বনানী থানায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের অভিযোগ একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারীরা তাদের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেটি না দিলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
সুলতান’স ডাইনের গুলশান ব্রাঞ্চের জন্য রাজধানীর কাওরান বাজার থেকে মাংস কেনা হয়। সেখানকার মালিক দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগকারীদের দাবি ভিত্তিহীন। সুলতান’স ডাইন প্রায় দিন ৫০ থেকে ১৫০ কেজি মাংস ওয়ার্ডার করে। লোক এসে যেটুকু পায় সেটুকু নিয়ে চলে যায়। পরে বাকিটুকু আমরা পৌঁছে দেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালিয়েছে। আগামী সোমবার কর্মকর্তাদের অধিদপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, তাদের কার্যক্রম তদন্ত করে দেখা হয়েছে। সোমবার তাদের ডাকা হয়েছে। আমাদের আরও কিছু প্রশ্ন রয়েছে, সেগুলোর উত্তর জানার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
নিয়ম অনুযায়ী কোনো দোকান থেকে মাংস কেনার সময় রেস্তোরার একজন প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি মানেননি রাজধানীর একাধিক রেস্টুরেন্ট কর্তপক্ষ।