সিলেটে বন্যায় মিঠামইন সড়কের দায় নেই
রাকিবুল ইসলাম
বন্যায় ভাসছে সিলেট-সুনামগঞ্জ। রেলওয়ে স্টেশন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাসাবাড়ি, অফিস আদালত, বিমানবন্দর সর্বত্র শুধু পানি আর পানি। ৬০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি। কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে। এক কথায় নিদারুণ কষ্টে দিন পার করছে বানভাষি মানুষ।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে কিশোরগঞ্জের হাওরে ইটনা-মিঠামইন সড়ক। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একটি অংশের দাবি, এ সড়কটির কারণেই বন্যার পানি নেমে যেতে পারছে না। কেবল এবারই নয়, গত বৈশাখে সুনামগঞ্জের বন্যায়ও এই সড়কটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছিল। তবে সে সময় সড়কের ১০ কিলোমিটারের আশপাশেও পানি ছিল না।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার সব পানি উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। বাউলাই, ধনু, ঘোড়াউত্রা নদী উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত। এসব নদীর প্রবাহ পথের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামে অল ওয়েদার রোড উত্তর-দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত করে তৈরি করা হয়েছে, যাতে পানির প্রবাহ কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলেট থেকে নেমে আসা পানি যেদিক দিয়ে নামে তাঁর বিপরীত দিকে সড়কটির অবস্থান। সিলেটের পানি নামে ধনু নদী দিয়ে। আর এ নদীর দক্ষিণে সড়কটির অবস্থান। এই সড়কের পুরো ৩০ কিলোমিটারের যে তিনটি নদী রয়েছে সেগুলোতেও বড় আকারের তিনটি সেতুসহ অনেক বক্স কালভার্ট রয়েছে।