সিনেমা ছাড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন মাহি
নাফিজা আক্তার
মাহিয়া মাহি যখন ওমরায়, তখনই শোবিজ থেকে মিডিয়া- সব খানে গুঞ্জন; এবার সিনেমাকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। ওমরাহ শেষে ফেরার পর একটি ছবির শুটিংকে না বলে দেয়া, গণমাধ্যমের কারও সঙ্গে কথা না বলা, সেই গুঞ্জনে ঘি ঢেলেছে।
অবশেষে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে সোমবার শুটিং সেটে হাজির মাহি। সোমবার শুটিংয়ে অংশ নেয়ার পাশাপাশি মুখোমুখি কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও।
সিনেমার ছাড়ার গুঞ্জনের জবাবে অগ্নি-খ্যাত এই নায়িকা জানালেন, তিনি সিনেমা ছাড়ছেন না। তবে পরিবার ‘বিব্রত’ হয়, এমন কোনো চরিত্রে পর্দায় হাজির হবেন না মাহি।
এফডিসিতে ‘বুবুজান’ নামের একটি ছবির শুটিংয়ে অংশ নিতে এসে মাহি বলেন, ‘আমি তো কোথাও বলিনি সিনেমা বা শোবিজ ছেড়ে দেয়ার কথা। সিনেমা কেন ছাড়বো? সিনেমা ছাড়ার তো প্রশ্নই আসে না।’
মাহি আরও বলেন, ‘এমন খবরে খুবই বিব্রত আমি। কেনো এমন কথা ছড়ানো হচ্ছে জানিনা। এফডিসিতে আসার পর সবাই একই প্রশ্ন করছে। সিনেমা আমার ভালো লাগার জায়গা। এটা আমার পেশাও। এটা আমার রিজিকের জায়গা। ওমরাহ তো ইবাদতের জায়গা। ইবাদতের জায়গায় ইবাদত আর কাজের জায়গায় কাজ। যখন সময় কিংবা পরিস্থিতি এমন হবে যে, আমি আর কাজ করবো না তখন আমার ডিরেক্টর, প্রডিউসারদের জানাবো। তখন সবাইকে জানিয়েই অভিনয় ছাড়বো।’
মাহিয়া মাহি আরও বলেন, ‘নতুন কোন সিনেমায় একটু ভেবে-চিন্তে সাইন করব। কারণ আমার ফ্যামিলি থেকে কিছুটা রেস্ট্রিকশান আছে। যেমন, এমন এমন ক্যারেক্টার করা যাবে না বা এই সেই বিষয়গুলো, সেই গল্পগুলো আমি একটু চুজ করব, যেখানে ড্রেসআপ মার্জিত থাকবে, ক্যারেক্টার মার্জিত থাকবে। মানে, সব করব না; খুব বেছে কাজ করব।’
এ মাসের শুরুতে মাহি ওমরায় থাকাকালে দুই বছর আগে তার সঙ্গে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অশালীন আচরণের একটি অডিও ফাঁস হয়। এর জেরে মন্ত্রিত্বও হারাতে হয় মুরাদকে।
মুরাদের পদ হারানোকে ‘বিচার’মনে করলেও, এই বিষয়ে এখন আর কিছুই বলতে চান না এই চিত্রনায়িকা।
মাহি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি ওই সময়ে কিছুই করার ছিলো না আমার। আপনারা ভাবুন এমন পরিস্থিতে ওই রকম পজিশনের একজন এভাবে কথা বললে তার বিপরীতে কিইবা করার থাকে।’
মাহি আরও বলেন, ‘এই রকম ফোন তো একদিন আসেনি, আরও অনেক ফোন আসতো। আমার কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করতাম। তাদের একটা ভয় কাজ করতো। চুপ থাকতে বলতেন। এভাবেই পাশ কাটিয়ে গিয়েছি। দেখেন আমি তখন ফেসবুকে লাইভে আসতে পরতাম। হইচই হতো। কিন্তু আমার ইমেজ, পরিবারের ইমেজ ও নিরাপত্তার বিষয়টিও তো দেখতে হয়। যে খারাপ সে তার শাস্তি পেয়েছে।’