সাকিবের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ অন্ধকারে , কঠিন বার্তা বোর্ডপ্রধানের
সম্প্রতি ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না সাকিব আল হাসানের। মাঠের ক্রিকেটে সেই অর্থে নিজের নামের সুবিচার করতে পারছেন না এই তারকা অলরাউন্ডার। বয়সটাও ৩৭ পেরিয়ে যেতে চলেছে। সঙ্গে ভুগতে হচ্ছে চোখের সমস্যায়। এর মধ্যে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার দল আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোয়। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে— কোন পথে এগোচ্ছে সাকিবের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ?
সাকিবের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন বিসিবিপ্রধান ফারুক আহমেদের কাছেও। তার উত্তরে অবশ্য অন্ধকারেই থেকে গেছে সাকিবের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। কেননা ক্ষমতা হারানোর পর সাকিবের দলের বাকি নেতাকর্মীরা গা ডাকা দিয়েছেন। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সাকিব নিজেও পাকিস্তান সিরিজের আগে দেশে পা রাখার সাহস দেখাননি। যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সরাসরি পাকিস্তানে খেলতে গেছেন। এভাবে দেশে না এসে কতদিন তিনি খেলতে পারবেন সেই প্রশ্নও উঠেছে, যা নিয়েই কথা বলেছেন ফারুক আহমেদ।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে সাকিবের ব্যাপারে বিসিবিপ্রধান বলেন, ‘তার ব্যাপারে আমাদের বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করব, সাকিব এখন যে স্টেজে আছে, সে কন্টিনিউ করতে পারে কিনা সেটা দেখব? বোর্ডের কিছু পলিসি আছে। সেগুলো নিয়ে আলাপ করতে হবে। অবশ্যই দুটি টেস্ট ম্যাচ (পাকিস্তান সিরিজ) আছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পলিসি যদি থাকত, যদি সাকিবকে বলা হতো তুমি খেলো না, তখন সেটা বোর্ডের ওপর যেত। আরেকটা ব্যাপার আছে, সে বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে খেলতে পারবে কিনা, এটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমরা গুরুত্বের সঙ্গেই দেখব।’
খেলা চলাকালীন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে দেখা গেছে সাকিবকে, যা নিয়ে বেশ সমালোচনাও শুনতে হয়েছে বিসিবিকে। তবে এ ব্যাপারে এবার কঠোর হওয়ার কথা বলছেন নতুন বিসিবিপ্রধান। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কিছু নিয়ম যোগ করা হবে। তারা কি করতে পারবে, কি করতে পারবে না— এটা আমি আজকেই এখানে ঢোকার আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ করেছি। বিশেষ করে সফর চলাকালীন, সফরের আগে পরে ক্রিকেটাররা কি করতে পারবে, কি পারবে না— এসব থাকবে। আপনার যদি লিখিত থাকে, সফর চলাকালীন সময় আপনি কোনো বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না। তাহলে এটার জন্য আপনার কাছে কেউ আসবে না। এটা যদি পরিষ্কার লেখা থাকে, তাহলে সুবিধা হবে।’