সর্বজনীন পেনশন যুগে বাংলাদেশ
সাদাকালো নিউজ
কাঙ্ক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ সকাল ১০টায়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর জেলা ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।
উদ্বোধনের দিন থেকেই ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও বিশেষ বিবেচনায় পেনশনভুক্ত হতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনার কারা, কীভাবে এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন, সে ব্যাপারে সরকারের প্রস্তুতি নিতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদাদাতা। তবে চাঁদাদাতা মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী চাঁদাদাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেনশন পাবেন। অর্থাৎ কোনো চাঁদাদাতা যদি ৬০ বছর বয়সে মারা যান, তার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত- অর্থাৎ মৃত্যুর পর ১৫ বছর তার নমিনি (চাঁদাদাতা কৃর্তক মনোনীত ব্যক্তি) পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
গত রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা প্রণয়নে যুক্ত কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে বিধিমালায় আজীবন পেনশনের ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট কিছু বলা নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পেনশনের চারটি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। তা হচ্ছে- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। বছর ভিত্তিক মোট ৮ ধরনের মেয়াদ ঠিক করা হয়েছে চাঁদা দেওয়ার জন্য। সেগুলো হচ্ছে- ৪২ বছর, ৪০ বছর, ৩৫ বছর, ৩০ বছর, ২৫ বছর, ২০ বছর, ১৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি।
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। আপাতত অর্থ বিভাগের আওতাধীন সংস্থা হবে এটি। এ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে গত মাসে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খান। আরেক অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা নিয়োগ পেয়েছেন সদস্য হিসেবে।
চাঁদাদাতার আজীবন এবং চাঁদাদাতার মৃত্যুর পর নমিনি বা উত্তরাধিকারীরা তাঁর (চাঁদাদাতা) ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেনশন পাওয়ার বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা উদাহরণ হিসেবে বলেন, ‘ধরুন, চার কর্মসূচির কোনো একটায় কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে মাসিক চাঁদা দিলেন টানা ৪২ বছর অর্থাৎ ৬০ বছর পর্যন্ত। ৬০ বছরের পর তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিনই নির্ধারিত হারে মাসিক পেনশন পাবেন। আবার চাঁদাদাতা যদি ৭০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে নমিনি বা উত্তরাধিকারী মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আর ৫ বছর পেনশন পাবেন।’
বিধিমালায় বলা হয়েছে, মারা গেলে অর্থ কে পাবেন, সে জন্য চাঁদাদাতা এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন। যেকোনো সময় একজন বা সব নমিনিই পরিবর্তন করে নতুন নমিনি মনোনয়নের সুযোগ থাকবে।
চাঁদাদাতা বা পেনশনধারী মারা গেলে এবং তাঁর মৃত্যুর পর নমিনি মনোনয়ন কার্যকর থাকলে পেনশনের অর্থ নমিনি পাবেন। তবে নমিনি নাবালক হলে পেনশনধারীর মৃত্যুর পর নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত নমিনির পক্ষে অর্থ তুলতে পারবেন চাঁদাদাতার মনোনয়ন বা নিয়োগ দেওয়া যেকোনো ব্যক্তি। তিনিই হবেন নাবালক নমিনির আইনসম্মত অভিভাবক। নমিনি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তি নাবালক নমিনির প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য হবেন।
কোনো স্কিমের বিপরীতে একাধিক নমিনি থাকলে এবং যেকোনো একজন নমিনি মারা গেলে এবং মৃত নমিনির বিপরীতে নতুন কোনো নমিনি মনোনয়ন না করা হলে জীবিত নমিনি বা নমিনিরা ওই স্কিমে উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য হবেন এবং স্কিমের অর্থ পাবেন। কোনো স্কিমের চাঁদাদাতা মাসিক পেনশন পাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার আগেই মারা গেলে তাঁর নমিনি বা নমিনিরা অথবা নমিনির অবর্তমানে উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীরা মুনাফাসহ জমা করা অর্থ ফেরত পাবেন। নমিনির অবর্তমানে উত্তরাধিকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকারের সনদ বিবেচনায় নেবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অর্থসচিব বরাবর আপিল করার সুযোগ পাবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসমর্থ হয়ে গেলে এবং অসামর্থ্যের কারণে কর্মহীন ও উপার্জনে অক্ষম হয়ে পড়লে চাঁদাদাতাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে। তখন তাঁকে অসচ্ছল চাঁদাদাতা হিসেবে ঘোষণা দেবে পেনশন কর্তৃপক্ষ। চাঁদাদাতার অসচ্ছলতা নির্ণয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠিত হবে এবং অসচ্ছল হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর এক বছর পর্যন্ত চাঁদা না দিলেও পেনশন হিসাব স্থগিত হবে না।
চাঁদাদাতা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, গৃহনির্মাণ, গৃহ মেরামত এবং সন্তানের বিয়ের ব্যয় মেটাতে জমা করা অর্থের ৫০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবেন, যা শোধ করতে হবে পরবর্তী ২৪ কিস্তিতে।
প্রগতি স্কিম (বেরসকারি টাকরিজীবীদের জন্য)
প্রগতি কর্মসূচিটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশ চাঁদা চাকরিজীবীরা নিজে ও মালিকপক্ষ ৫০ শতাংশ হারে বহন করবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি বা স্কিমে অংশ নিতে না চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিজ উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এ কর্মসূচির মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ২,০০০ টাকা, ৩,০০০ টাকা ও ৫,০০০ টাকা।
যদি কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে এ কর্মসূচির আওতায় আসেন এবং ৪২ বছর ২ হাজার টাকা হারে মাসিক চাঁদা দেন তাহলে ওই ব্যক্তির ৬০ বছর পূর্ণ হলে প্রতি মাসে পেনশন পাবেন ৬৮,৯৩১ টাকা। ৩ হাজার টাকা মাসিক চাঁদা দিলে পেনশন ১,০৩,৩৯৬ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন ১,৭২,৩২৭ টাকা।
৪০ বছর ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৫৮,৪০০ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৮৭,৬০১ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১,৪৬,০০১ টাকা।
৩৫ বছর ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩৮,৩৭৪টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৫৭,৫৬১ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৯৫,৯৩৫ টাকা।
৩০ বছর ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৪,৯৩২ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩৭,৩৯৮ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৬২,৩৩০ টাকা।
২৫ বছর ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১৫,৯১০ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৩,৮৬৪ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩৯,৭৭৪ টাকা।
২০ বছর ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৯,৮৫৪ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১৪,৭৮০ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৪,৬৩৪ টাকা।
১৫ বছর ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৫,৭৮৯ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৮,৬৮৩ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১৪,৪৭২ টাকা।
১০ বছর ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩,০৬০ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৪,৫৯১ টাকা, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৭, ৬৫১টাকা।
সুরক্ষা স্কিম (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য)
সুরক্ষা কর্মসূচিটি হচ্ছে রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতিসহ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য।
এ কর্মসূচির মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০০০ টাকা, ২,০০০ টাকা, ৩,০০০টাকা ও ৫,০০০ টাকা।
যদি কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে এ কর্মসূচির আওতায় আসেন এবং ৪২ বছর ১ হাজার টাকা হারে মাসিক চাঁদা দেন তাহলে ওই ব্যক্তির ৬০ বছর পূর্ণ হলে প্রতি মাসে পেনশন পাবেন ৩৪,৪৬৫ টাকা। ২ হাজার টাকা মাসিক চাঁদা দিলে পেনশন ৬৮,৯৩১ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন ১,০৩,৩৯৬ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে মাসিক চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাবেন ১,৭২,৩২৭ টাকা। ৪০ বছর ১ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৯,২০০ টাকা, ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৫৮,৪০০ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৮৭,৬০১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে পেনশন ১,৪৬,০০১ টাকা।
৩৫ বছর ১ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১৯,১৮৭ টাকা, ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩৮,৩৭৪ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৫৭,৫৬১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে পেনশন ৯৫,৯৩৫টাকা।
৩০ বছর ১ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১২,৪৬৬ টাকা, ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৪,৯৩২ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩৭,৩৯৮ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে পেনশন ৬২,৩৩০ টাকা।
২৫ বছর ১ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৭,৯৫৫ টাকা, ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১৫,৯১০ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৩,৮৬৪ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে পেনশন ৩৯,৭৭৪ টাকা।
২০ বছর ১ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৪,৯২৭ টাকা, ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৯,৮৫৪ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৩,৮৬৪ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে পেনশন ৩৯,৭৭৪ টাকা।
১৫ বছর ১ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২,৮৯৪ টাকা, ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৫,৭৮৯ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৮,৬৮৩ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে পেনশন ১৪,৪৭২ টাকা।
১০ বছর ১ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১,৫৩০ টাকা, ২ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩,০৬০ টাকা, ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৪,৫৯১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে পেনশন ৭,৬৫১ টাকা।
সমতা স্কিম
আর সমতা কর্মসূচিটি হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য, যাদের বার্ষিক আয় ৬০ হাজার টাকার কম।
এ কর্মসূচির মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০০০ টাকা। যার ৫০ শতাংশ- অর্থাৎ ৫০০ টাকা সরকার দিবে এবং ৫০০ টাকা চাঁদা দেবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
যদি কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে এ কর্মসূচির আওতায় ৪২ বছর ১ হাজার টাকা হারে মাসিক চাঁদা দেন তাহলে ওই ব্যক্তির ৬০ বছর পূর্ণ হলে প্রতি মাসে পেনশন পাবেন ৩৪,৪৬৫ টাকা। ৪০ বছর চাঁদা দিলে পেনশন ২৯,২০০ টাকা। ৩৫ বছর চাঁদা দিলে পেনশন ১৯,১৮৭ টাকা। ৩০ বছর চাঁদা দিলে পেনশন ১২,৪৬৬ টাকা। ২৫ বছর চাঁদা দিলে পেনশন ৭,৯৫৫ টাকা। ২০ বছর চাঁদা দিলে পেনশন ৪,৯২৭ টাকা। ১৫ বছর চাঁদা দিলে পেনশন ২,৮৯৪টাকা। ১০ বছর চাঁদা দিলে পেনশন ১,৫৩০ টাকা।
প্রবাস স্কিম
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পেনশনের প্রবাস কর্মসূচিটি শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। তারা বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দেবেন। তবে মেয়াদ পূর্ণ হলে দেশীয় মুদ্রায় পেনশন পাবেন। এ কর্মসূচির মাসিক চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫,০০০ টাকা, ৭,৫০০ টাকা ও ১০,০০০ টাকা।
যদি কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে এ কর্মসূচির আওতায় ৪২ বছর ৫ হাজার টাকা হারে মাসিক চাঁদা দেন তাহলে ওই ব্যক্তির ৬০ বছর পূর্ণ হলে প্রতি মাসে পেনশন পাবেন ১,৭২,৩২৭ টাকা। ৭,৫০০ টাকা মাসিক চাঁদা দিলে পেনশন ২,৫৮,৪৯১ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন ৩,৪৪,৬৫৫টাকা।
৪০ বছর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১,৪৬,০০১ টাকা, ৭,৫০০ টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২,১৯,০০১ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২,৯২,০০২ টাকা।
৩৫ বছর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৯৫,৯৩৫ টাকা, ৭,৫০০ টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১,৪৩,৯০২ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১,৯১,৮৭০ টাকা।
৩০ বছর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৬২,৩৩০ টাকা, ৭,৫০০ টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৯৩,৪৯৫ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১,২৪,৬৬০ টাকা।
২৫ বছর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩৯,৭৭৪ টাকা, ৭,৫০০ টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৫৯,৬৬১ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৭৯,৫৪৮ টাকা।
২০ বছর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৪,৬৩৪ টাকা, ৭,৫০০ টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৩৬,৯৫১ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৪৯,২৬৮ টাকা। ১৫ বছর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১৪,৪৭২টাকা, ৭,৫০০ টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২১,৭০৮ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ২৮,৯৪৪ টাকা।
১০ বছর ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ৭,৬৫১ টাকা, ৭,৫০০ টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১১, ৪৭৭ টাকা, ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিলে পেনশন ১৫, ৩০২ টাকা।
যে নিয়ম মানসিক ভারসাম্যহীনের জন্য
বিধিমালায় বলা হয়েছে, পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে কোনো চাঁদাদাতা যদি চাঁদা দেওয়ার জন্য অসমর্থ হয়ে পড়েন, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির নমিনি বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীর ওপর কর্মসূচির স্বত্ব ন্যস্ত করতে পারবে। তারা কর্মসূচিটি চালিয়ে নিতে পারবেন এবং মেয়াদ শেষে পেনশন ভোগ করতে পারবেন। চাঁদাদাতা নিখোঁজ হয়ে গেলে নমিনি বা উত্তরাধিকারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পেনশন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং কর্মসূচি চালিয়ে নিতে পারবেন। নিখোঁজ হওয়ার সাত বছর পার হওয়ার মধ্যে চাঁদাদাতা ফিরে না এলে তার কর্মসূচিটি স্থগিত করা হবে।