সর্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করবেন যেভাবে
সাদাকালো নিউজ
দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবনে ভার্চুয়ালি এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি।
এর ফলে দেশে-বিদেশে বসবাসরত ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনও বাংলাদেশি পেনশনের আওতায় আসার সুযোগ পেলেন। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন তারা। এজন্য পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
সেখানে ঢুকলেই প্রথমে একটি পাতা আসবে। যেখানে লেখা থাকবে, এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে-
ক) আমি সরকারি/ আধা-সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত/ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই।
খ) সর্বজনীন পেনশন স্কিম বহির্ভূত কোনও ধরনের সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হতে পেনশন সুবিধা গ্রহণ করি না।
গ) আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনও ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।
উল্লেখ্য, ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকৃত অর্থ ফেরত যোগ্য হবে না।
এরপর ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করতে হবে। সেখানে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। যেখানে
আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা ও প্রগতির মধ্যে প্রযোজ্য স্কিম বেছে নিতে হবে। পরে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর দিতে হবে। এরপর জন্ম তারিখ, মোবাইল ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি লিখতে হবে। তারপর ক্যাপচা লিখে পরের পাতায় যেতে হবে।
পরে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা আসবে। সেখানে এনআইডি নম্বর, ছবি, বাংলা ও ইংরেজি নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা আসবে। এখানে বার্ষিক আয় লিখতে হবে। পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। পেশার ঘরে শিক্ষক, বেসরকারি চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, ব্যবসা, দিনমজুর, আইনজীবী, সাংবাদিক ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
এরপর পরের পাতায় মাসিক চাঁদার পরিমাণ এবং চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করতে হবে। এখানে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক অপশন থাকবে। পরের ধাপে ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম ও ব্যাংকের শাখার নাম লিখতে হবে। এরপর নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল ফোন নম্বর, তার সঙ্গে সম্পর্ক কি লিখতে হবে।
সবশেষে ইতোমধ্যে পূরণ করা ব্যক্তিগত, স্কিম, ব্যাংক ও নমিনি তথ্য প্রদর্শন করা হবে। সেখানে কোনও ভুল থাকলে সংশোধন করতে হবে। সর্বোপরি, সব তথ্য সঠিক থাকলে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এসময় আবেদনটি ডাউনলোডও করা যাবে।
এদিন থেকে অনলাইন ফরম পূরণ অথবা সরাসরি সোনালী ব্যাংকের যেকোনও শাখায় গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। সেই সঙ্গে চাঁদা দেয়া যাবে। মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও তা দেয়া যাবে।