সরকারের সমালোচনা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হতে পারে না: জাপা চেয়ারম্যান
সাদাকালো নিউজ
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, আমাদের রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য। তাই, আমরা দেশের মানুষের জন্য কথা বলি। দেশের মানুষের পক্ষে সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতে সরকারের সমালোচনা করছি। সরকারের সমালোচনা কখনোই রাষ্ট্রদ্রোহিতা হতে পারে না। অনেকেই সরকারের বিরোধিতাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মনে করেন। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে কুমিল্লা জেলা জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, সরকার দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা করা যায় না। স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছিল। সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও দেশের মানুষ বৈষম্যের শিকার। দেশের মানুষের সঙ্গে বৈষম্য হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনা পরিপন্থী।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে আমরা জোটবদ্ধ হওয়াকে বন্ধুত্ব মনে করি। জোটবদ্ধ হওয়া মানে ক্রীতদাস হওয়া নয়, জোটবদ্ধ মানে দাসত্ব নয়। আমরা রাজনীতি করি। দেশের মানুষের স্বার্থই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিভিন্নভাবে নিষ্পেষিত হচ্ছে। প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। আবার মানুষের আয়ও কমে যাচ্ছে। এ কারণেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দেশের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ভালো কাজে ভালো মূল্য দিতে হয়। ভালো কাজ করতে গেলে জুলুম-নির্যাতন আসবেই। সব বাধা উপেক্ষা করে আমরা গণমানুষের পক্ষেই কথা বলব। আমরা সম্মান ও ভালোবাসার জন্য রাজনীতি করি। টাকা বা লোভ-লালসার জন্য জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়। তাই, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে আমরা কখনোই মাথা নত করব না।
ওই সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক রওশন আরা মান্নান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিম, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির মুন্সি।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, মমতাজ উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদীন, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, ক্রীড়া সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম দুলাল, আব্দুল কুদ্দুস মানিক, কাজী জামাল উদ্দিন, ওবায়দুর রহমান মোহন, সোহেল রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, জাতীয় পার্টি নেতা খলিলুর রহমান খলিল। ওই সময় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা নেতাদের মধ্যে কাজী নাজমুল, জসীম উদ্দিন মাস্টার, জাহাঙ্গীর আলম, নজরুল ইসলাম বাবর, মিজানুর রহমান মিজান উপস্থিত ছিলেন।