সম্পদে এগিয়ে আব্দুল খালেক!
সাদাকালো নিউজ
খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট হবে আগামী ১২ই জুন। এই নির্বাচন ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। নগরীর পাড়া মহল্লা ছেয়ে গেছে পোস্টারে। বিজয়ী হলে কে কী করবেন দিচ্ছেন সেই প্রতিশ্রুতিও। খুলনায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সাতজন, তাদের মধ্যে চারজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামা থেকে জানা গেছে, তিন প্রার্থীর মধ্যে সম্পদে শীর্ষে আছেন তালুকদার আব্দুল খালেক।
হলফ নামায় দেখা গেছে, ৫ বছরে তালুকদার আব্দুল খালেকের নগদ অর্থ বেড়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বেড়েছে সম্পদের পরিমাণও। এছাড়াও সম্পদ বেড়েছে তার স্ত্রী পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারেরও। তার বছরে আয় ৫৯ লাখ টাকা। সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি।
পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে মেয়র পদে নির্বাচন করার সময় নিজের হলফনামা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিলেন আব্দুল খালেক। আগের হলফনামা এবং গত ১৬ মে জমা দেয়া নতুন হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তালুকদার আব্দুল খালেকের কাছে নগদ টাকা আছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় তার নগদ টাকা ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার।
আগের নির্বাচনের সময় আব্দুল খালেকের স্ত্রীর টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার। এখন তার নগদ টাকা আছে ৭৩ লাখ ৬২ হাজার। বর্তমানে আব্দুল খালেকের ৪টি ব্যাংকে জমা আছে ১ কোটি ১৮ হাজার টাকা। আরও আছে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ১৮ লাখ টাকার পোস্টাল এফডিআর।
আব্দুল খালেকের ৫ বছর আগে এসবিএসি ব্যাংকে ২ কোটি টাকার শেয়ার থাকলেও, এখন আর সেটি নেই। কৃষিখাত থেকে খালেক বছরে আয় করেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর ব্যাংকের সুদ থেকে আয় ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া মেয়র হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতা বাবদ আয় ২৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
এবার আব্দুল খালেক পেশা হিসেবে ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে ব্যবসা থেকে তার কোনো আয় নেই। পাঁচ বছর আগে জমা দেয়া হলফনামায় পেশা হিসেবে মৎস্য ঘের ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেখান থেকে তার আয় ছিল ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩০০ টাকা।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে আব্দুল খালেক পৈত্রিক সূত্রে ২৩ বিঘা কৃষিজমির মালিক। এ ছাড়া তিনি ৩ দশমিক ২১ একর কৃষি জমি ও ৩ কাঠা অকৃষি জমির মালিক। যার মোট মূল্য ২৮ লাখ ২১ হাজার টাকা। জমিসহ একটি বাড়ির অর্ধেক মালিক তিনি, যার মূল্য ২ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর ওই বাড়ির অর্ধেক মালিক তার স্ত্রী। সেই হিসেবে স্ত্রীও ২ কোটি ১২ লাখ টাকার মালিক।
সোনালী ব্যাংক খুলনার স্যার ইকবাল রোড শাখায় আব্দুল খালেক ও স্ত্রীর নামে ঋণ আছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। খালেকের বিরুদ্ধে আগে ৯টি মোকদ্দমা ছিল। এ মধ্যে ৪টিতে অব্যাহতি ও ৫টিতে খালাস পেয়েছেন তিনি।
সম্পদ বাড়ার কারণ হিসেবে আব্দুল খালেক জানান, তিনি অবৈধভাবে কোনো সম্পদ আয় করেননি। তার বেতনভাতা হিসেবে যা আয় হয়েছে, তা দিয়েই তিনি সবকিছু করেছেন।