সমুদ্র সৈকতে তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই
সাদাকালো নিউজ
ঈদের ছুটির পর সপ্তাহিক ছুটির এক দিন আগে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকক্সবাজারে এসেছেন লাখো পর্যটক। জেলার অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও দর্শণার্থীদের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে সৈকতে মানুষের এমন স্রোত দেখা যায়। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে।
এ ছাড়া নানা বয়সের পর্যটকে মুখরিত হয়ে আছে সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটনস্পটগুলো। মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, সোনাদিয়া, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাগম রয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট, রাখাইন পল্লী, বৌদ্ধ মন্দির ও রামুর বৌদ্ধ মন্দিরেও পর্যটকদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
ঢাকার উত্তরা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা জান্নাতুল আরা জানান, ঈদের ৪র্থ দিনে রাতে গাড়িতে উঠি। সকালে কক্সবাজারে পৌঁছেছি। কিন্তু এখানে কোনো হোটেল ফাঁকা পাইনি। তবুও বিশাল সমুদ্রের সামনে এলে মনটা জুড়িয়ে যায়। এটাই কক্সবাজার ভ্রমণের আনন্দ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা, তথ্যসেবা, পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ নানা সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।