সংঘর্ষ থামেনি সুদানে, নিহত ৫০০ ছাড়াল
সাদাকালো নিউজ
সুদানে তিন সপ্তাহ ধরে চলা সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর (আরএসএফ) মধ্যে লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই ৫২৮ জন বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছেন ।
সোমবার (১ মে) এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অব্যাহত লড়াইয়ে আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫৯৯ জনে।
এদিকে, প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত শুক্রবার সংঘর্ষ বিরতির মেয়াদ খাতায়-কলমে বাড়ানো হলেও খার্তুমে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে শুরু করে জাতীয় সম্প্রচারক সংস্থার সদর দপ্তর বা সেনা ছাউনি-সব জায়গাতেই সংঘর্ষের হয়েছে।
সর্বত্রই চলেছে গুলি, পড়েছে বোমা। যে কারণে, কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যেতে দেখা গেছে শহরের আকাশ।
৫০ লক্ষের বেশি মানুষের শহর এই খার্তুম এখন রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র। বিবাদমান দুই পক্ষের হয়ে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সেনাদের থাকার জন্য দখল নেওয়া হয়েছে বহু বাড়ি, হাসপাতাল এমনকি দোকানও।
অন্যদিকে, সুদান থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ পুরোদমে চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ।
এই লড়াই থেকে নিজেদের বাঁচাতে চরম ঝুঁকি নিয়েও সীমান্ত পেরোচ্ছেন হাজার হাজার সুদানী। কমপক্ষে ৫০ হাজার উদ্বাস্তু ইতিমধ্যেই সুদান থেকে চাদ, মিশর, দক্ষিণ সুদান এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে ঢুকেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু বলে জানা গেছে।
কিন্তু, খার্তুম থেকে নিরাপদে বেরোনোর রাস্তাটাই সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে উদ্ধারকারীদের তরফে।
পোর্ট সুদানে অপেক্ষা করছে উদ্ধারকারী নৌযানগুলো। তবে সাধারণের পক্ষে সেই পর্যন্ত এসে পৌঁছনোর রাস্তাটি দীর্ঘ এবং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
কারণ, খার্তুমের বাইরে আরএসএফ সদস্যরা উদ্বাস্তুদের পথরোধ করছে। যে সব সাধারণেরা এখনও সুদান ছাড়তে পারেননি তাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।
খার্তুম তো বটেই তার আশপাশের অঞ্চলগুলিতেও পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তারা কোনও মতে বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন। তাদের খাবারের জোগানেও এ বার টান পড়তে শুরু করেছে। তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগানও।
যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ লড়াইকারীরা। তারা বিরতি উপেক্ষা করে লড়াই করে যাচ্ছে।