শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগ চায় সিএসই, বিএমবিএ
সাদাকালো নিউজ
বিভিন্ন শ্রেনীর করদাতারা তাদের বৈধ উপায়ে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে না। বিনিয়োগ করতে না পারা সেই অর্থ বিভিন্ন ভাবে বিদেশে পাচার হচ্ছে। পাচার রোধে সেই অর্থ সহজেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা সেই অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন না তোলার বিধান চালু করার দাবিও তাদের।
আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট (২০২৩-২০২৪ অর্থবছর) আলোচনায় সিএসইর এসব দাবি রাখেন। পরে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে লিখিত আকারে একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন।
সিএসইর উল্লেখ্যযোগ্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কোম্পানি শেয়ারের লভ্যাংশ থেকে উৎসে কর কর্তনের বাতিল করা, করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে প্রাপ্ত করমুক্ত নগদ লভ্যাংশের সীমা ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ অর্থ উৎস সম্পর্কে কোন প্রশ্ন না তোলার বিধান চালু করা, জিরো কুপন বন্ডের অন্য বন্ডের আয়কে কর অব্যাহতি প্রদান করা, এমএমই কোম্পানিগুলোর জন্য প্রথম ৩ বছর কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া, একক লেনদেন ও নির্ধারিত নগদ ব্যয় বিনিয়োগ সীমা ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ করা, নির্ধারিত বার্ষিক নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগের সীমা ৭২ লাখ টাকা করা, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করা, পৃথক বন্ড মার্কেট গঠনে স্পষ্টভাবে উক্ত ধারা থেকে বন্ড লেনদেন অব্যাহতি দেওয়া, অল্টারনেট ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যায় সুবিধা দেওয়া, বিএসইসির প্রদত্ত সুবিধা সিএসইকে দেওয়া