শেখ জামালকে হারিয়ে আবাহনীর শিরোপা পুনরুদ্ধার
সাদাকালো নিউজ
এনামুল হক বিজয়-নাঈম শেখ যেভাব ব্যাট করছিলেন মনে হচ্ছিল হেসে-খেলেই জয়ের দেখা পাবে আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু না, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বোলারদের কল্যাণে ম্যাচটি গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে।
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কাভারে চার হাঁকিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন তানজীম হাসান সাকিব। এর আগে এক ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচটি আরও সহজ করে দেন এই পেসার। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী শিরোপা পুনুরুদ্ধার করে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনী শেষবার শিরোপা জেতে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
টস হেরে শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে আবাহনী। রান তাড়া করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
বিজয়-নাঈমে আবাহনীর শুরুটা হয়েছিলে দারুণ। দুজনে ২৬.২ ওভারে ১৪৫ রান যোগ করে দেন। এখানেই পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচের। ৭৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে নাঈম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। নাঈম ফেরার পর বিজয়ও টিকতে পারেননি। ৮১ বলে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন তিনি।
ওপেনিং জুটি পতনের পর এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও আবাহনীর জয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি শেখ জামালের বোলাররা। আরেক প্রান্তে আফিফ হোসেন ধ্রুব খেলছিলেন দারুণ। বিজয়-নাঈমের ভিতে দাঁড়িয়ে ৫৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর আসল কাজটা করেন আফিফ। মাঝে মোসাদ্দেক হোসেন ২২ ও জাকের আলী অনিক ২১ রান করেন। আফিফের সঙ্গে সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৭ বলে ১২ রান করে।
শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন পারভেজ রসুল ও তাইবুর রহমান। ১টি করে উইকেট জমা হয় আরিফ আহমেদ-সাইফ হাসানের ঝুলিতে।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে শেখ জামাল। ফজলে মাহমুদ রাব্বি-তাইবুর রহমান ৮১ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন। রাব্বি ৪০ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। রাব্বি ফিরলে নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে তাইবুর আরও ৪২ রান যোগ করেন। তাইবুর ৫৩ রানে ফিরলে ভাঙে সোহানের সঙ্গে এই জুটি।
এবার সোহানের সঙ্গী হন পারভেজ রসুল। দুজনে জুটি গড়ে ৮৩ রান যোগ করেন। পারভেজ ৪২ রানে ফিরলেও সোহান ছিলেন অবিচল। তার ৭০ বলে ৮৯ রানের ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং ভিত পায় শেখ জামাল। শেষদিকে ক্যামিও ইনিংস খেলেন জিয়াউর রহমান। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৮ রান।
সাইফউদ্দিনের ক্র্যাম্প হওয়াতে মাঠ ছেড়ে উঠে যান। তাতে লাভ হয় শেখ জামালের। সাইফউদ্দিন না থাকায় বিজয় শেষ ওভার করেন, এই ওভারে তিনি ১৯ রান দেন। এ ছাড়া আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন তানবীর ইসলাম-সাকিব।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের সামনে সুযোগ ছিল টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার। কিন্তু গতবার চতুর্থ হওয়া আবাহনী সেটা হতে দেয়নি।