শিক্ষার অভিনব ব্যবস্থা করে তাক লাগিয়ে দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক!
নাফিজা আক্তার
অনেকেই বলে থাকেন লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই, যে কোনো সময়েই শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। কিন্তু এবার দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও কোনো স্থান হয় না। যে কোনো জায়গাতেই শিক্ষা নেয়া সম্ভব। সেটা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ হউক বা বিমানের ককপিট। কি শুনতে অবাক লাগছে, বিমানের ভেতরে আবার পড়াশোনা!
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, বাস্তবে এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ভারতের সমস্তিপুরের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার নাম মেঘান সাহনি। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে পড়াশোনায় ছাত্র-ছাত্রীদের মনযোগ আকর্ষণ করতেই এই কাজটি করেছেন তিনি। স্কুলের গ্রন্থাগারটিকে বিমানে রূপান্তরিত করেছেন। আর এমনটা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সমস্তিপুরের মহিউদ্দিন নগর ব্লকের শিবাইসিংপুর গ্রামে অবস্থিত আপগ্রেডেড মিডল স্কুলে। জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে পাটোরি মহকুমার মহিউদ্দিন নগর ব্লকের শিবিসিংহপুর গ্রামে অবস্থিত এই স্কুলটি।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক স্কুলের গ্রন্থাগারটিকে বিমানের রূপে সাজিয়েছেন। যেখানে একসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী বসে পড়াশোনা করতে পারবেন। স্কুলের এই গ্রন্থাগারের নামকরণ করা হয়েছে শিক্ষা উদ্যান নামে।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেঘান সাহনি বলেন, ‘মহিউদ্দিন নগরের নন্দনী গ্রামে শিক্ষা এক্সপ্রেসটি ট্রেনের আকারে তৈরি করা হয়েছিল। এরপর ছাত্রছাত্রীরা বিমানের আকারে একটি গ্রন্থাগার তৈরির অনুরোধ করেন। এর পরেই গড়ে তোলা হয় শিক্ষা উদ্যান নামে বিমানাকৃতি গ্রন্থাগার। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আগ্রহটা এখন অনেক বেড়ে যাবে।