শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ইভ্যালির রাসেল!
রাকিব হাসান
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো রাসেল। রিমান্ডে রয়েছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে প্রায় শত কোটি টাকা কয়েকটি দেশে পাচার করেছেন রাসে। এমন তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে।
অনুসন্ধান বলছে, রাসেল ওই টাকা পাচার করেছেন হুন্ডির মাধ্যমে। এই কাজে তাকে সহায়তা করেছেন মতিঝিল ব্যাংকপাড়ার দুই হুন্ডি ব্যবসায়ী। তারা হলেন, সুমন ও আব্দুল মান্নান।
এই দুজনকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাসেল ধরা পড়ার আগেই গা-ঢাকা দিয়েছেন তাঁরা। এই দুজনকে ধরতে পারলে বেরিয়ে আসবে রাসেলের টাকা পাচারের অনেক গোপন তথ্য। রাসেলের হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
সূত্র বলছে, রাসেল ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার পর বিদেশে গেছেন অন্তত ১১ বার। উদ্দেশ্য, ইভ্যালিকে অন্য দেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পরিচিত করানো। বিদেশের একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগও করেছেন তিনি।
এসব কাজে রাসেলকে সহায়তা করা এক বন্ধুকেও খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি চীন থেকে মোবাইল ফোন আমদানির ব্যবসা করেন। বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে ওই বন্ধুর হাত রয়েছে বলে রাসেলকে রিমান্ডে নিয়ে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশে টাকা পাঠালে বিতর্কের মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই রাসেল হুন্ডিকে বেছে নেন। হুন্ডির মাধ্যমে নির্বিঘ্নে তিনি গ্রাহকদের টাকা এবং ইভ্যালি থেকে আয়কৃত টাকা দেশের বাইরে নিয়েছেন। ওই টাকা দেশে আনা অনেক কঠিন হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ইভ্যালিতে টাকা বিনিয়োগকারীরা।
রাসেল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার ইভ্যালি থেকে প্রতারণার শিকার গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তিনটি বড় প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাছে পাবে কমপক্ষে ২২৫ কোটি টাকা। ওই টাকা ফেরত পাবে কিনা জানে না প্রতিষ্ঠানগুলো। একই অবস্থা সাধারণ গ্রাহকদেরও।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে রাসেল ও নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গুলশান থানায় ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে গুলশান থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা এখন গুলশান থানা পুলিশের রিমান্ডে আছেন।