লেনদেন বেড়েছে জেমিনি সি ফুডের
সাদাকালো নিউজ
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের প্রায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যমানের শেয়ার গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ লেনদেন নিয়ে আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বোচ্চ লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোম্পানিটি। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে জেমিনি সি ফুডের মোট ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৫১৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ৭৯ কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ারদর এ সময়ে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের আয় হয়েছে ৬৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেড়েছে। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ১৬ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৩৮ পয়সায়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে জেমিনি সি ফুড। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ৩০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৭২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৩ টাকা ১০ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে জেমিনি সি ফুড। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৯ টাকা ৮৩ পয়সা।
২০১৯-২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় তারা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।