লভ্যাংশ বিতরণের প্রতিবেদন জমা দেয়নি ৪ কোম্পানি
সাদাকালো নিউজ
শেয়ারহোল্ডারদের কাছে বিতরণ করা লভ্যাংশের প্রতিবেদন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দেয়নি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানি।
কোম্পানি চারটি হলো—এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ), ফরচুন সুজ এবং কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইন অনুসারে, কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে ডিএসই ও বিএসইসিতে কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। এতে লভ্যাংশ বিতরণের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছে ডিএসই।
লিস্টিং রুলসের ২৯ অধ্যায় অনুসারে, কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানির এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ অনুমোদনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তা বিতরণ করবে এবং বিতরণের সাত কার্যদিবসের মধ্যে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেবে স্টক এক্সচেঞ্জে। কিন্তু, এই চার কোম্পানি সে আইন লঙ্ঘন করেছে। আইন লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি হিসেবে প্রতিদিন কোম্পানিগুলোকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমান গুনতে হবে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফরচুন সুজ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। লভ্যাংশ অনুমোদন নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানিটি গত ৮ ডিসেম্বর এজিএম করেছে। সে হিসেবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে লভ্যাংশ পরিশোধ করে জানুয়ারির মাঝামাঝি প্রতিবেদন পাঠানোর কথা ছিল।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য গত ৮ ডিসেম্বর এজিএম করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে।
আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফাইন্যান্স ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ এবং ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর এজিএম করে।
এছাড়া, কে অ্যান্ড কিউ জুলাই থেকে মার্চ সময়ের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটিও লভ্যাংশ বিতরণের কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট ডিএসইতে জমা দেয়নি।