রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমাল জাতিসংঘ
সাদাকালো নিউজ
তহবিল ঘাটতির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য সহায়তা আবারও কমিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তাবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। এ নিয়ে তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সহায়তা কমিয়ে দেয়া হলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই শরণার্থী শিবিরে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সংকট এবং পুষ্টিহীনতা আরও তীব্রতর হবে।
ডব্লিউএফপির মুখপাত্র কুন লি জানিয়েছেন, রেশন আগামী ১ জুন থেকে প্রতি মাসে জনপ্রতি ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করা হবে। এর আগের ঘোষণায় মাসিক বরাদ্দ ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ রেশন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হলে জরুরিভাবে ৫৬ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার।
এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা যুব সমিতির প্রধান খিন মং বলেন, খাদ্য কমানোর নতুন সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর এবং এর ফলে রোহিঙ্গা শিবিরে ক্ষুধা ও অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়বে। এটি জাতিসংঘের একটি লজ্জাজনক পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক। তহবিল কাটছাঁটের এই ঘোষণা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চক্রান্ত বলে মনে করেন তিনি।
ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম তহবিল কাটছাঁটের পর থেকে রোহিঙ্গা শিবিরে ইতোমধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন ঘোষণায় শিবিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে বলে তাদের শঙ্কা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার, টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন।