রোলার কোস্টার থেকে কীভাবে পড়ে গেলো রাব্বি?
রাকিবুল ইসলাম
১০ বছর বয়সের ছোট্ট শিশু মো. রাব্বি। ঈদের দিনে বিনোদন করতে গিয়ে তাঁকে বিদায় নিতে হয়েছে পৃথিবী থেকে। এভাবে তাঁর চলে যাওয়ায় নির্বাক মা ও বাবা। মানতেই পারছেন না, তাঁদের কলিজার টুকরো সন্তান আর নেই।
জানা গেছে, রাব্বি গেন্ডারিয়ার স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ গ্রামে। বাবার নাম জনু মিয়া। পরিবারের সঙ্গে গেন্ডারিয়া এলাকায় থাকতো রাব্বি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাব্বি ছিলো সবার ছোট।
ঈদের দিন নামাজ পরা শেষে ঘরে ফিরে পিঠা পায়েস খেয়েছিলো রাব্বি। মায়ের সোনার টুকরো ছেলে দুপুরের পর মামা সাইফ ও সমবয়সী বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যায় শ্যামপুর ইকোপার্কে।
সেই পার্কেরই একটি রোলার কোস্টারে উঠেছিলো সে। হঠাৎ করে দ্রুত গতির কোস্টার থেকে ছিটকে পরে যায় রাব্বি। পরে ঢাকা মেডিকেলে আনার পথেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় কাঠ ব্যবসায়ী বাবার সবচেয়ে ছোট ছেলেটার।
রাব্বির স্বজনরা বলছেন, রাইড অপারেটরের গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকি রাইড থেকে পড়ে যাওয়ার পরও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি পাক কর্তৃপক্ষ। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে নিচে পরে যায় রাব্বি।
তাঁরা বলছেন, রোলার কোস্টার প্লেনের মত এবং চালু করার আগে যারা এতে ওঠে তাদের বেল্ট দিয়ে আটকে রাখা হয়। কিন্তু ওই শিশু রোলার কোস্টার চলার সময় বেল্ট খুলে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলো। এরপর সে ছিটকে পড়ে যায়।