`রিজার্ভ কেউ চিবিয়ে খায়নি, দেশের মানুষের জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে’
সাদাকালো নিউজ
রিজার্ভের টাকা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহারের পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর কাজে ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে পায়রা বন্দরে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রায় ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও আটটি জাহাজের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকই ভাবতে পারেন রিজার্ভের টাকা কেন খরচ হচ্ছে? রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়? যাঁরা এই প্রশ্ন করেন, তাঁদের বলছি, রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে, রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য। এটাকে কেউ চিবিয়ে খায়নি, মানুষের কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া আমদানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা রিজার্ভের টাকা কাজে লাগাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো সরকার পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি তথা রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানির সংকট তৈরি হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ ভুক্তভোগী। কারা লাভবান হচ্ছে জানি না। হয়তো লাভবান হচ্ছে যাঁরা অস্ত্র ব্যবসা করেন বা অস্ত্র বানান। কিন্তু বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আমার আবেদন থাকবে বিশ্ববাসীর কাছে, এই যুদ্ধটা বন্ধ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। উন্নত বিশ্বগুলো, যারা যুদ্ধংদেহী ভাব নিয়ে পথে নেমেছেন, তাদের কাছে আমার এই আবেদনটা থাকল।’
এ সময় কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দর আবারও চালুসহ নৌপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এর ফলে দেশের অর্থনীতি যেমন সচল, গতিশীল ও উন্নত হবে; আবার দেশের মানুষের জন্য পর্যটনের সুন্দর ব্যবস্থা হবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাতে পারব।’
সরকারপ্রধান বলেন, বন্দরের কার্যক্রম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক করিডোরে পায়রা সমুদ্র বন্দরের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।এর ফলে,দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা,দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং বহু লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন,আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ঠিকই আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই।এসময় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।