রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট হয় কিভাবে ? কারা ভোট দেন ?
সাদাকালো নিউজ
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছে- ১২ই ফেব্রয়ারি সিইসির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। প্রত্যাহার ১৪ই ফেব্রুয়ারি।
১৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৩৪৩ জন। ভোট হবে ব্যালটে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসবেন নতুন মুখ।
দেশের সর্বোচ্চ এই পদে কে আসছেন এ বিষয় দেশের মানুষ জানতে যেমন কৌতুহল তেমনি কৌতূহল রয়েছে কারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করবেন। এবং এর প্রক্রিয়ায় বা কি?
দেশের সংবিধানে বলা আছে, আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্য কর্তৃক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। কারও বয়স ৩৫ বছরের কম ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না হলে রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতির মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে সংসদ সদস্য থাকতে হবে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময়ও তার সঙ্গে একজন সংসদ সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হবে।
নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি তার পদে প্রবেশের তারিখ থেকে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতির পদে থাকতে পারবেন না, এটি পরপর হোক বা না হোক।
রাষ্ট্রপতি স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখে পদত্যাগ করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তাদের কার্যকালীন সময়ে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনকি সংসদের কোনো সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে পদে প্রবেশের দিন থেকে তাদের আসন খালি ঘোষণা হবে।
জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। এর আগে প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও ১৯৯১ সালে সংবিধানে সংশোধনী এনে পরোক্ষ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়। সংসদ সদস্য হিসেবে স্পিকারও এই নির্বাচনে একজন ভোটার।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনি কর্মকর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হবে। এর মুড়ি অংশে স্বাক্ষর দিয়ে ভোটারদের ব্যালট পেপার সংগ্রহ করতে হবে। ভোট দেয়ার পর সংসদ কক্ষে থাকা ব্যালট বাক্সে তা জমা দিতে হবে।
ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে। রাষ্ট্রপতি পদে একজন প্রার্থী হলে বিধান অনুযায়ী ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না।
রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে এবং সংসদের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোটের সমর্থন পেলে তাকে অভিশংসন করা যায়। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হলে বা পদত্যাগ কিংবা অপসারণ হলে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।