রমজানে ওষুধের সময়সূচি
সাদাকালো নিউজ
ডায়াবেটিস, আলসার বা গ্যাস্ট্রিক, অ্যাজমা, হার্ট ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপসহ বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে রোগীদের নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। রোজায় ওষুধের সময়সূচি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান। রোজার ওষুধ সেবনের নিয়ম কেমন হবে টা জেনে নিন।
মুখের খাবার ওষুধ
তিনবেলা কোনো ওষুধ সেবন করতে হলে সকালেরটা সেহরিতে, দুপুরেরটা ইফতারে আর রাতেরটা রাতে শোবার আগে খাবেন। খেয়াল রাখুন ইফতার আর রাতের ওষুধ সেবনের সময়ের পার্থক্য যেন ৫-৬ ঘণ্টা হয়। দুবেলা অর্থাৎ সকাল আর দুপুরে কোনো ওষুধ থাকলে সকালেরটা সেহরির পরম দুপুরেরটা ইফতারের পরপর খাবেন। শুধু দুপুর আর রাতে কোনো ওষুধ থাকলে দুপুরেরটা ইফতারে আর রাতেরটা রাতে শোবার আগে খেতে হবে। দিনে একবার সকালে বা দুপুরে কোনো ওষুধ খেতে হলে সেটা সেহরিতে খাবেন। আর শুধু রাতের ওষুধ স্বাভাবিক নিয়মে রাতের খাবারের পর খেতে হবে। যেসব ওষুধ খাবারের আগে খেতে হয় সেগুলো খাওয়ার সময় ইফতারের সময় একটু মুশকিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ইফতারের শুরুতে শুধু পানি দিয়ে রোজা ভেঙে প্রথমে খালি পেটে ওষুধ খাবেন। তারপর ১৫-২০ মিনিট পর স্বাভাবিক নিয়মে ইফতার করবেন। খালি পেটের ওষুধ খেয়ে বিরতির সময়টাতে নামাজ আদায় করে নিতে পারেন। দুবেলা খালি পেটে খাবার ওষুধ থাকলে একইভাবে সেহরিতে প্রথমে ওষুধ খেয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর সেহরি খান।
অন্যান্য ওষুধ
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি রোজা রাখতে চাইলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। যাদের রক্তে চিনির মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত, বিশেষ করে যাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা চিনির মাত্রা অতি কমে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের রোজা না রাখাই ভালো। তবে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার এমন কিছু ওষুধ আছে, যা হাইপোগ্লাইসেমিয়া থেকে রক্ষা করে। এ ধরনের রোগীরা রোজা রাখতে চাইলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। কানের পর্দা ছেঁড়া থাকলে কানের ড্রপ রোজা রেখে ব্যবহার না করাই ভালো। রোজা রেখে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন নেওয়া যায়। তবে শক্তি বাড়ায় এমন কিছু দেওয়া যাবে না। রোজা রেখে দাঁত তোলাসহ অন্যান্য ডেন্টাল চিকিৎসা করা যায়। তবে কোনো কিছু যেন গলার অভ্যন্তরে চলে না যায়। চোখ বা নাকে ড্রপ দিলে তা মুখে চলে যাবার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ প্রয়োজন না হলে ড্রপ না নেওয়াই নিরাপদ। নিতান্ত প্রয়োজনে ড্রপ ব্যবহার করতে হলে ওষুধ গলার আসলে কুলি করে ফেলুন। এতে ওষুধ গলায় বা পেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
রোজা ভঙ্গ হওয়ার কারণের মধ্যে যেসব ওষুধ পড়ে সেগুলো রোজা রাখা অবস্থায় গ্রহণ করা যাবে না। তবে ইফতারের পর থেকে সেহরির আগপর্যন্ত এসব ওষুধ নেওয়া যাবে।
জেনারেল অ্যানেসথেশিয়া বা পুরোপুরি অজ্ঞান করার ওষুধ
তরল যে কোনো ওষুধ, যা মুখে সেবনযোগ্য
ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট
পানি মেশানো আছে এমন ইনহেলার
নাকের ড্রপ, যদি গলার ভেতরে যায়
রোজা অবস্থায় যেসব ওষুধ নেওয়া যাবে
লোকাল অ্যানেসথেশিয়া বা
গিলে খেতে হয় না এমন কিছু ওষুধ
জীবনরক্ষাকারী ইনজেকশন, ইনসুলিন
ক্রিম, লোশন ও ত্বকের বাইরে ব্যবহারের ওষুধ