রওশন এরশাদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি!
সাদাকালো নিউজ
দল পরিচালনায় অযোগ্যতা ও অসাংগঠনিক আচরণের কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদপন্থিরা। একই সঙ্গে রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির নতুন চেয়ারম্যান করার কথা জানানো হয়েছে।
২২ আগস্ট রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আমি বেগম রওশন এরশাদ, এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো–চেয়ারম্যান এই মর্মে ঘোষণা করছি যে পার্টির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ও সিদ্ধান্তক্রমে দলের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। এই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা কো–চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সই করেছেন।
গেল বছরের ৭ ডিসেম্বরের এক সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, মামলা-মোকদ্দমায় জাতীয় পার্টির চলমান অচল অবস্থা নিরসনে পার্টির চারজন কো-চেয়ারম্যান ও দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদকে সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এতে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্টির চার কো-চেয়ারম্যান ও দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রধান পৃষ্ঠপোষককে ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় অস্থায়ী ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। সেই কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। আর প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন- শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ডা. নাছরিন জাহান রত্নী।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ জানান, তিনি কখনো রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেননি। এক, দুই বছর আগের আগের কোনো স্বাক্ষরকে কেন্দ্র এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে জিএম কাদেরের কোনো মন্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বিজেপির আমন্ত্রণে দিল্লি গেছেন তিনি। তবে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। আর এভাবে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ারও কোনো সুযোগ নেই।
দ্বাদশ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে জাতীয় পার্টিতে দুই শীর্ষ নেতার বিরোধ তত বাড়ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে জাপার ভেতরে নানা আলোচনা রয়েছে। আর জি এম কাদের বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে আসছেন।