মোনাফিক-বেইমানের কারণে নৌকার ভারডুবি!
সাদাকালো নিউজ
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোভী কর্মীরাই নৌকাকে ডুবিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, দিনভর নৌকার জন্য মাঠে কাজ করে রাতে গিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থীর বাড়ি থেকে টাকা এনেছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় প্রার্থীর জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের নিয়ে গঠন করা হয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ কমিটির লোকজন পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান সেসব নেতাকে নিয়ে মূল্যায়ন সভা ডেকেছেন। সেখানেই আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এমব অভিযোগ করেন।
তেশরা জুন গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম জানান, ঘড়ির কোনো এজেন্ট ছিল না, প্রচার ছিল না। দলের লোকজন ঘাড়ে বসে ঘড়ির নির্বাচন করেছে। তারা নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। ওয়ার্ডে নেতারা রাতের আঁধারে জাহাঙ্গীরের বাসায় গিয়ে টাকা এনেছে।
ওসমান আলী নামে এক নেতা বলেন, বর্তমানে যেসব ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে, সবগুলোই জাহাঙ্গীরের সময় করা হয়েছে। ফলে এসব কমিটির অনেক নেতা আওয়ামী লীগের নাম দিয়ে ঘড়ির পক্ষে নির্বাচন করেছেন। অনেক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।
অন্য নেতাকর্মীরা বলেন, নির্বাচনে কেন্দ্রের দায়িত্ব পাওয়া নেতারাও কোনো কাজ করেনি। কোনো পোস্টার লাগানো হয়নি। চিহ্নিত বিএনপি-জামায়াতপন্থি লোকজনকে নৌকার ব্যাজ দেয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি ব্যাজও পায়নি।
মূল্যায়ন সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি জানান, নির্বাচনে কতিপয় মোনাফিক ও বেইমানের কারণে হেরেছে আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁকে নৌকার পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য থানা পর্যায়ে এই মূল্যায়ন সভা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে আলোচনা করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
আজমত উল্লা খান আরও জানান, যেসব মোনাফিক ও মীরজাফরের কারণে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যথায় আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।