মুনাফা বেড়েছে গ্রামীণফোনের
সাদাকালো নিউজ
প্রথম প্রান্তিকের পর দ্বিতীয় প্রান্তিকেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৩শ কোটি টাকা। তবুও দশ মাস ধরে ফ্লোর প্রাইসে আটকা কোম্পানিটির শেয়ার। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। যা সোমবার কোম্পানিটির সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতে তালিকাভুক্ত হয় গ্রামীণফোনের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত আয় হয়েছে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৭৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২৯৩ কোটি টাকা মুনাফা বেড়েছে।
সমন্বিত আয় বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফাও বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই এই তিন মাসে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৯২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
অর্থাৎ প্রায় ২৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মুনাফা বেড়েছে। তাতে ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি শেয়ারের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮৪ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৮২ পয়সা।
কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা যে শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকেই হয়েছে তা নয়, কোম্পানির চলতি বছরের দুই প্রান্তিকেই বেড়েছে। চলতি বছরের দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন ছয় মাসে সমন্বিত কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের সমন্বিত কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ২৪৩ কোটি ২ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৮২ পয়সা। অর্থাৎ ১ টাকা ৮০ পয়সা করে শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে।
মুনাফা বাড়ায় ৩০ জুন সমাপ্ত প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৩৪ পয়সায়।
১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি ২০২২ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ দিয়েছিল ২৫০ শতাংশ নগদ। ২০২০ সালে ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। একইবাবে ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। কিন্তু তারপরও কোম্পানিটির শেয়ার ২০২১ সালে ২১ সেপ্টম্বর থেকে ফ্লোর প্রাইসের আটকে আছে। প্রায় দীর্ঘ ১০ মাস ধরে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে না। অর্থাৎ ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সাতে পড়ে রয়েছে।
৪ হাজার কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধনের এই কোম্পানটির বর্তমানে রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতেই রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার। অর্থাৎ শেয়ারটিতে বিনিয়োগ ঝুঁকি কম রয়েছে।