মীরার জীবনে প্রথম নন শহিদ!
নাফিজা আক্তার
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শহিদ কাপুর এবং স্ত্রী মীরা রাজপুত দুই জনেই নিজেদের মতো করে মজা করতে ভালোবাসেন। আর মজার সেই ভালোবাসা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে তারা বেছে নেন সোশ্যাল মিডিয়াকে। সমম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন শহিদ। ভিডিওতে শহিদকে বলতে শোনা গেছে, মীরার দ্বিতীয় প্রেম নাকি তিনি, তবে প্রথমজন কে?
সাদা কালো ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, দুজনের মধ্যে বিশাল দূরত্ব, তবে দূর থেকেই মীরার কপালে স্নেহ চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন শহিদ। ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘যার দিকে মীরা হাঁ করে তাকিয়ে আছেন, সেই তার প্রথম প্রেম।’ এ কথায় বোঝা যাচ্ছে শহিদের তীর মুঠোফোনের দিকে। তবে মীরার জীবনে দ্বিতীয় প্রেমিক হয়ে থাকতেও শহিদের কোনো অসুবিধা নেই।
এ ঘটনা চোখ এড়ায়নি স্ত্রী মীরার। তার বক্তব্য, ‘একেবারেই নয় তার জীবনে এক এবং অনন্য ভালোবাসার মানুষ শুধুই শহিদ।’
ওই পোস্টে মন্তব্য করেছেন শহিদের ভাই ঈশানও। ভাবির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পিঠ সোজা করে বসো।’ সেখানে পাল্টা উত্তরে মীরা বলেন, ‘আরেহ! আমি ফোনে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় দেখার চেষ্টা করছিলাম। একা ছেড়ে দাও আমাকে!’
শহিদ, মীরা এবং ঈশানকে মাঝে মধ্যেই একসঙ্গে দেখা যায়। নানা ধরনের উৎসবেও পরিবারের সবাই একসঙ্গেই উদযাপন করেন তারা। তবে আপাতত ‘জার্সি’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন শহিদ।
২০১৫ সালের ৭ জুলাই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেতা শহিদ কাপুর ও মিরা রাজপুত। বছর ঘুরতেই তাঁদের কোলে আসে মেয়ে মিশা কাপুর। এরপর একটি ছেলে সন্তানও হয় তাদের। মিশার জন্মের সময় কাজ থেকে অনেকদিন দূরে ছিলেন শহিদ। স্ত্রী মীরাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলের বেলায় তা হয়নি। ব্যস্ত শিডিউলের কারণে কাজের মধ্যেই মীরার পাশে পাশে থাকতে হয় তাঁকে।
বসন্ত ভ্যালি স্কুলে পড়ালেখা শেষ করে দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজে ভর্তি হন শহিদের চেয়ে বয়সে ১৩ বছরের ছোট মিরা রাজপুত। সেখানে ইংরেজিতে স্নাতক করছেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মিরা। রাধা স্বামী সৎসঙ্গ বেয়াস নামের একটি ধর্মীয় সংগঠনের অনুসারী শহিদ ও তাঁর বাবা পঙ্কজ কাপুর। ধর্মীয় সংগঠনটিতেই মিরার সঙ্গে শহিদের পরিচয় হয়।