
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কর্মকাণ্ডে কোনো প্রভাব ফেলেনি : র্যাবের বিদায়ী ডিজি

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব ছাড়াও বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে আসছে।
র্যাবের বিদায়ী মহাপরিচালক বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সংশোধনের চেষ্টা চলছে।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, র্যাব সমসময় আইন মেনে কাজ করে। অপরাধী আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে বলেই মাদক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জঙ্গি বিস্তার রোধে আমাদের জোরাল অভিযানের কারণে উল্লেখযোগ্য জঙ্গি সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। আমার সময়ে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমার দুই বছর দায়িত্ব পালনকালে মাদক চোরচালান বন্ধে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। এই সময়ে ৩৬ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে।’
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ তা বৈশ্বিক যুদ্ধ। সারা বিশ্বিই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। কারাগারে থাকা বন্দিদের মধ্যে মাদক মামলার আসামিই বেশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকের সমস্যা একটি সামাজিক সমস্যা। সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। আমার সন্তানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া আমার দায়িত্ব, আমাদের শিক্ষকের দায়িত্ব রয়েছে, জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা বলার সুযোগ নেই। আমরা যখনই খবর পাই, তখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’