ভোট দিতে না যাওয়ার কারণ জানালেন সাদিক
সাদাকালো নিউজ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে বড় জয় পেয়েছে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও আশপাশে সরব উপস্থিতি ছিলো নৌকার সমর্থকদের। শুধু দেখা মেলেনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর। ভোটও দেননি তিনি।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছেলে সাদিক এবারও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেখানে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে। এরপর দুই পরিবারের বিবাদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ মনোনয়ন পাওয়ার পরে তার পক্ষে কাজ না করারও অভিযোগ রয়েছে সাদিক আব্দুল্লাহ ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসব বিষয় নিয়ে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ করে আসছেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। এমনকি নৌকার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে সাদিক আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কিছু না বললেও ভোট দিতে বরিশালে না আসার প্রসঙ্গে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সাদিক আব্দুল্লাহ। জানিয়েছেন, দলের হাইকমান্ড তাকে ঢাকায় থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি ভোট দিতে যেতে পারেননি। সাবেক এই মেয়রের বাবা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি সেখানকার ভোটারও। তিনিও বরিশালে যাননি। দুজনেই ঢাকায় আছেন বলে জানান সাদিক।
তবে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বড় ভাই আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিনন্দন জানান তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার হাত আরও শক্তিশালী করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮টি। দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৫৩ হাজারেরও বেশি।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলার মধ্যেই বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ২১ জুন হতে যাওয়া সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বয়কট করেছে ধর্মভিত্তিক দলটি।
সোমবার বরিশাল সিটি নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে ভোট নেয়া হয়। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন।