ভোটের মাঠ ছাড়তে চান জাপা প্রার্থী স্বপন!
সাদাকালো নিউজ
২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। পাশাপাশি রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক।
রাত পোহালেই রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এর মধ্যেই এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন জাপা প্রার্থী স্বপন। সম্প্রতি নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় গণসংযোগকালে লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী জানান, ভোট করে লাভ হবে না। কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। অনুমতি পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।
সাইফুল ইসলাম স্বপন আরও জানান, ইভিএমে ভোট করে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। ভোটের রেজাল্ট আগে থেকে হয়ে আছে। তবে তিনি গোপনে নির্বাচন থেকে বসে যাবেন না। কেন্দ্রের অনুমতি পেলে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়াবেন।
রাজশাহীতে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে স্বপনের প্রচার-প্রচারণা তেমনটা চোখে পড়েনি। এছাড়া দলীয় বিভেদের কারণে সব কর্মীকে পাশেও পাননি তিনি। এমনকি ইশতেহার ঘোষণার সময় দলের নেতাকর্মীরা হট্টগোলে জড়ান। এতে জাপা প্রার্থী স্বপন বেশ ক্ষুধ্ব হন।
এতে করে প্রশ্ন উঠেছে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন স্বপন। তবে জাপা প্রার্থীর ভাষ্য, সাংগঠনিক দুর্বলতা নয়, ইভিএমের কারণে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন না তিনি। তার ধারণা, খুলনা ও বরিশালে যেমন ভোট হয়েছে রাজশাহীতেও তেমনটা হবে। ভোট করে কোনো লাভ নেই।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহানগরের যুগ্ন আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু জানান, ইভিএম নিয়ে আগে থেকেই তাদের আপত্তি ছিলো। এ কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চান তারা। তবে এখনও কেন্দ্রের কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্ত আসলেই ঘোষণা দেয়া হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম ফারুকী এবং গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অবশ্য ১২ই জুন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী।
রাজশাহী সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে চারজন, ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।