ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে সেনা
সাদাকালো নিউজ
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যার দিকে তিন ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ২৮৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে যেসব সেনা ঘাঁটি রয়েছে সেখান থেকেই সেনাদের যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেন।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উদ্ধার অভিযান, আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ভারতের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ড থেকে সেনা মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং দল, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি মোতায়েন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে সেনাদের পাঠানো হয়েছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা। শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমনণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন— এই তিনটি ট্রেন এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল— সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি এখনও। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুায়ী, সিগন্যালে অপেক্ষমান মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়েছিল এবং সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আগেই ওই এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা— তা এখনও বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে যত ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেসবের মধ্যে গতকাল শুক্রবারের দুর্ঘটনাটি ছিল অন্যতম ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী।