ব্যারিস্টার সুমনের যুবলীগ থেকে পদ হারানোর নেপথ্যে কী?
ওবায়দুল শেখ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ওসুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন। স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা-ব্রিজ নির্মাণ, ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন, এলাকার বিভিন্ন দুর্নীতি-অসঙ্গতি নিয়ে লাইভ প্রোগ্রামসহ ব্যতিক্রমী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন। তিনি ব্যারিস্টার সুমন নামেই সুপরিচিত।
২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে সায়েদুল হক সুমন তাতে আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদ পান। তবে, ১ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সেই পদ হারাতে হল তার।
৭ই আগস্ট রাতে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল যুবলীগ থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করায় ও সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক স্লোগান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ওসির তীব্র সমালোচনা করে ফেইসবুক লাইভ করেন ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, দেশ ও পুলিশ বিভাগের ক্ষতি করেছেন ওসি আক্তার হোসেন।
প্রায় ১৮ বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন। নিজের পেশা থেকে অর্জিত অর্থের সিংহভাগই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে। মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করাকে ইবাদত মনে করেন তিনি।
নিজ এলাকার যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের ভোগান্তি দূর করতে, স্বেচ্ছাশ্রমে ২১টি ব্রিজ ও ৫টি রাস্তা নির্মাণ করেছেন। ব্যক্তিগত অর্থ ও শ্রমে সংস্কার করেছেন আরো ৪০টি রাস্তা। এই হিসেব শুধু গত জাতীয় নির্বাচন আগ পর্যন্ত। এর পরের হিসেবে আরো বেড়েছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ছেলে সায়েদুল হক সুমন। উপজেলা সদরের পাশে পীরবাজার নামক গ্রামে তার জন্ম। বাবা ছিলেন একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। মা গৃহিনী। বাবা-মায়ের ৬ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সুমন। ছোট বেলা কেটেছে চুনারুঘাটেই। স্থানীয় কেজি স্কুলে আমার শিক্ষার হাতে খড়ি। তারপর ডিসিপি হাইস্কুলে ভর্তি। এখান থেকেই এসএসসি পাশ করি। তারপর ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। এইচএসসি পাস করি ঢাকা কলেজ থেকে। এরপর আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মার্কেটিং এ ভর্তি হই। বিবিএ, এমবিএ পাশ করি। এরপর তিনি ব্যারিস্টারি পড়তে ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। লন্ডনে বার অ্যাট ল’ সম্পন্ন করার করে দেশে ফেরেন তিনি।