বুয়েট ছাত্র ফারদিন ৪ ছাত্র পড়াতেন!
সাদাকালো নিউজ
বুয়েটছাত্র ফারদিনের দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে তার প্রাণ কেড়ে নেয়ার আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসক। তারপর তদন্ত নিয়ে পরিবার ও সহপাঠীদের হতাশার মধ্যে ৪০ দিন পর আইনের লোকেরা জানালেন, এই তরুণ নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন।
ফারদিনের ঘটনার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। পাশাপাশি ছায়া তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল র্যাব। এর আগে দুই সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে বিভ্রান্তি ছড়ালেও এবার একি উপসংহারে পৌঁছেছে র্যাব ও ডিবি। দুই পক্ষই বলছে, নিখোঁজ হওয়ার দিন ভোররাতে ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ফারদিন।
কেন এমনটা মনে করা হচ্ছে, এর বেশ কিছু কারণও জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। তারা বলছে, চারটা টিউশন করাতেন ফারদিন। সেই টাকা দিয়ে নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশুনার খরচ চালাতেন। এছাড়া ফারদিনের ওপর পরিবার থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার শাসন ছিল। বুয়েটের হলে না থাকার বারণ ছিলো।
বিশেষ করে ফারদিনের রেজাল্ট ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছিল। প্রথম সেমিস্টারে সিজিপিএ তিন দশমিক ১৫ হয়েছিল। পরে তা কমতে কমতে দাঁড়ায় দুই দশমিক ৬৭’তে। যা বাসার লোকজন বা আত্মীয়-স্বজন কেউ কিছুই জানতো না।
এছাড়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য চলতি বছরে ফারদিনের স্পেন যাওয়ার কথা ছিলো। এ কারণে তার ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিলো। যা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিল। ক্যাম্পাসের বন্ধুরা তাকে ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করে দিয়েছিল।
এসব নিয়ে এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিল ফারদিন। যা সে মানতে পারত না। তাছাড়া ফারদিন তার হতাশার কথা তার এক বান্ধবীকে বহুবার জানিয়েছিল। সেই বান্ধবীর ভাষ্যমতে, ফারদিন হতাশাগ্রস্ত ছিল। সেই কারণেও সে নিজেই নিজেকে শেষ করে থাকতে পারে।