মাত্র ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করেছিলেন ফারদিন!
সাদাকালো নিউজ
বুয়েটছাত্র ফারদিনের ঘটনার এক মাস ১০ দিন পর নতুন তথ্য দিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শুরু থেকেই ফারদিনের জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে বলা হলেও ডিবিপ্রধান বলেছেন, ফারদিনের প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়নি। সে নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন।
ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে, ফারদিন নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন। কেন তারা এমনটা মনে করছেন, এর বেশ কিছু কারণও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি বলছে, ফারদিনের রেজাল্ট ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছিল। প্রথম সেমিস্টারে সিজিপিএ তিন দশমিক ১৫ হয়েছিল। পরে তা কমতে কমতে দুই দশমিক ৬৭ হয়।
এ বিষয়ে ফারদিনের বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজন কিছুই জানত না। তাছাড়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেন যাওয়ার জন্য তার ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। সেই টাকা জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছিল ফারদিন। বন্ধুরা ৪০ হাজার টাকাও দিয়েছিলো।
ডিবি বলছে, এসব কারণে ফারদিনের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। চারটা টিউশন করিয়ে সেই টাকা দিয়ে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশুনার ব্যয় চালাত এই বুয়েট শিক্ষার্থী।
এছাড়া ফারদিনের ওপর পরিবার থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার শাসন ছিল। বুয়েটের হলে না থাকার বারণ ছিল। এসব বিষয়ে চাপের মধ্যে ছিলেন ফারদিন, যেটা সে মানতে পারত না।
ইফফাত জাহান মুমু নামে ফারদিনের এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেছে ডিবি। মুমুর সঙ্গে ফারদিনের মেসেঞ্জার এবং টেলিগ্রামে অনেক কথোপকথন রয়েছে। ফারদিন মুমকে অনেকবার তার হতাশার কথা জানিয়েছে।
মুমুর ভাষ্যের বরাতে ডিবি বলছে, সবমিলিয়ে ফারদিন হতাশাগ্রস্থ ছিলেন। সেই কারণেও এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে তারা ধারণা করছেন।
গত চৌঠা নভেম্বর রামপুরা থেকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় যান বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের দেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।